ট্রাম্পের শুল্ক বাড়ানোর হুমকির পর কঠোর প্রতিক্রিয়া জানালো কানাডা। কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রী মেলানি জোলি শুক্রবার সতর্ক করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি কানাডিয়ান পণ্যের উপর কাস্টমস ডিউটি বাড়ান, তবে আমেরিকানরা “ট্রাম্প ট্যারিফ ট্যাক্স” দ্বারা আক্রান্ত হবে।
তিনি দাবি করেছেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত বাণিজ্য যুদ্ধের জন্ম দিতে পারে এবং কানাডা এতে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত।
দুদিন পর হোয়াইট হাউসে দায়িত্ব নিতে যাওয়া ট্রাম্প তার অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় উল্লেখ করেছেন যে, তিনি কানাডিয়ান আমদানির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। এছাড়া, মেক্সিকো, চীন এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক অংশীদারদের বিরুদ্ধেও এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর থেকেই নানা ঘটনা আলোচনা সমালোচনা চলছে।
এ নিয়ে কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রী মেলানি জোলি জানান, “এ সিদ্ধান্তের কারণে গত কয়েক দশকের মধ্যে কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সবচেয়ে বড় বাণিজ্যযুদ্ধ হতে পারে। আমেরিকানরা আমাদের বিরুদ্ধে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করবে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা সর্বাধিক চাপ প্রয়োগ করার জন্য প্রস্তুত আছি।”
কানাডা এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে এবং প্রয়োজন হলে মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করার মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, যা কানাডিয়ান গ্রাহক এবং কর্মসংস্থানের জন্য বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।
এএফপির সূত্রে জানা গেছে, কানাডা যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্টিল, সেরামিকস, কাচের পণ্য এবং কমলা রসের উপর উচ্চ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছে। এগুলো হলো প্রথম পর্যায়ের পণ্য, যা পরবর্তীতে বাড়ানো হতে পারে।
বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, “আমরা কানাডা এবং কানাডিয়ানদের রক্ষায় দৃঢ় এবং একনিষ্ঠ হব।”
তিনি আরো বলেন, “প্রস্তাবিত শুল্ক আমেরিকান চাকরি ঝুঁকিতে ফেলবে, আমেরিকান গ্রাহকদের জন্য দাম বাড়াবে এবং মহাদেশব্যাপী খরচ বাড়িয়ে দিতে পারে।”
বিশ্ববিদ্যালয় ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে, একটি সম্ভাব্য বাণিজ্যযুদ্ধ কানাডার জিডিপি ৫ শতাংশ কমাতে, বেকারত্ব বাড়াতে এবং মুদ্রাস্ফীতি উস্কে দিতে পারে।