বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজের জীবনের সবচেয়ে কঠিন কাজের একটি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউজে দেয়া ভাষণে বাইডেন বলেন, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির পথ সহজ ছিলো না। এটি আমার জীবনের অভিজ্ঞতার মধ্যে সবচেয়ে কঠিন আলোচনার মধ্যে অন্যতম।
এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেও কৃতিত্ব দিয়েছেন বাইডেন। তিনি বলেন, আমার এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধিরা চুক্তিতে পৌঁছার জন্য ‘এক দল’ হিসেবে প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছে।
এসময় বাইডেন বলেন, এই চুক্তি গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করবে, ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদের জন্য জরুরি মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি করবে এবং ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্দী থাকার পর জিম্মিদের সঙ্গে তাদের পরিবারের পুনর্মিলন ঘটাবে।
বাইডেন বলেন, এই পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট রূপরেখা আমি ২০২৪ সালের ৩১ মে (জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে) তুলে ধরে ছিলাম। উপস্থাপনের পর তা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছিলো।
তিনি বলেন, লেবাননে যুদ্ধবিরতি ও ইরান দুর্বল হওয়ার পরে হামাস যে ব্যাপক চাপে ছিলো এবং আঞ্চলিক সমীকরণ যেভাবে বদলে গিয়েছিলো, এই যুদ্ধবিরতি কেবল সেটারই ফলাফলই নয়। বরং আমেরিকার দৃঢ় ও কষ্টসাধ্য কূটনীতিরও ফলাফল। এটা সম্পন্ন করার জন্য তাদের (কূটনীতিকদের) প্রচেষ্টায় আমার কূটনীতি কখনো থেমে থাকেনি।
তিন ধাপে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হবে জানিয়ে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রথম ধাপ ছয় সপ্তাহ স্থায়ী হবে। দ্বিতীয় ধাপে যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তি নিয়ে আলোচনা এবং তৃতীয় ধাপে গাজার পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা চলবে।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ১৫ মাসের নারকীয় তাণ্ডবের পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েল। এই যুদ্ধবিরতিতে মূল মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর।
সূত্র: এবিসি নিউজ