spot_img

শীতে যেসব ঠান্ডা খাবার খাওয়া উচিত নয়

অবশ্যই পরুন

শীতে সাধারণত সবাই গরম গরম খাবার খেতে পছন্দ করেন। মূলত ঠান্ডা থেকে দূরে থাকতেই করা হয় এসব। কেউ কেউ তো আবার প্রতিবেলা খাবার খাওয়ার আগে খাবার রান্না করেন বা গরম করে নেন। কিন্তু এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা ঠান্ডা অবস্থায় খেতেই বেশি ভালো লাগে। কেউ আবার সেই ভালো লাগা থেকে একাধিকবার ঠান্ডা খাবার খান।

শীতে ঠান্ডা খাবার খেতে ভালো লাগে, এমন খাবারের মধ্যে অনেকই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। যা জানা নেই আমাদের। আর অজান্তেই সেসব খাবার খাওয়া হয়। তাৎক্ষণিক অবস্থায় ক্ষতির পরিমাণ বুঝতে পারা না গেলেও ধীরে ধীরে শরীরের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে। এ কারণেই ঠান্ডা খাবার না খাওয়ার জন্য বলা হয়। এ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।

কাঁচা সবজি: শীতে কাঁচা সবজি খাওয়া একদমই ঠিক নয়। এসবের মধ্যে রয়েছে শসা, টমেটো, লেটুস। এসব স্বাস্থ্যকর মনে হলেও শীতে কাঁচা অবস্থায় খাওয়া হলে শরীর আরও ঠান্ডা হতে পারে। এ সময় শরীর এমনিতেই উষ্ণ থাকার জন্য লড়াই করে। এ জন্য কাঁচা শাক-সবজি খাওয়া হলে তা হজমকে ধীর গতি করে দিতে পারে।

ঠান্ডা দুধ: শীতে ঠান্ডা দুধ পান করলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সমস্যাগুলোর মধ্যে কাশি, সর্দি বা কনজেশন হতে পারে। যদিও দুধে ক্যালসিয়াম রয়েছে এবং এটি পুষ্টিকর পানীয়, এরপরও ঠান্ডা দুধ পানে শ্লেষ্মা তৈরির সম্ভাবনা থাকে। দুধ ভীষণ পছন্দ হলে হলুদের মতো মশলা দিয়ে গরম করুন। এটি দুর্দান্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধকারী পানীয়।

ডাব: ডাবের পানি পান শরীরকে সতেজ ও হাইড্রেটিং রাখে। বিশেষ করে গ্রীষ্মের সময় এটি খুবই উপকারী পানীয়। কিন্তু শীতে ডাবের পানি পানে শরীরের তাপমাত্রা কমে আসে। এতে শরীর অধিকতর ঠান্ডা অনুভব করে।

শীতকালীন নয় এমন ফলমূল: অধিকাংশ ফলই শীতকালে হয়ে থাকে। তবে এমন কিছু ফল রয়েছে যা শীতকালীন নয় বা অন্যান্য সময়ের হলেও শীতেও পাওয়া যায়, সেসব ফল এড়িয়ে চলা উচিত। সেসব ফলমূল শীতে খাওয়া হলে শরীর ঠান্ডা করে দেয়। একইসঙ্গে হজমে ব্যাঘাত ঘটায়।

ভাজাপোড়া খাবার: শীতের সকালে পেঁয়াজু, চপ, বেগুনি, পাকোড়া ও সমোসার মতো মজাদার খাবার অতিরিক্ত খেলে হজমশক্তি কমে যেতে পারে। আবার ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। এ সময় অধিক তৈলাক্ত খাবার খাওয়া হলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে যায়।

গাঁজানো খাবার: গাঁজানো খাবার যেমন ইডলি, দোসার মতো খাবার খাওয়া হলে পেটে গ্যাস-অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা হয়। হজমকে ধীর করে দেয় এবং এসব খাবার অধিক খাওয়ার ফলে পেট ফোলা বা অস্বস্তি হতে পারে।

দই: প্রায় কম-বেশি সবারই পছন্দের খাবার দই। এটি খাওয়ার পর শরীর শীতল হয়ে যায়। তবে শীতকালে দই খাওয়া হলে শরীর আরও বেশি ঠান্ডা হয়। শীতে যদি দই খেতেই চান, তাহলে বাটার মিল্কের আকারে খান, সামান্য গরম করে জিরার মতো মশলা মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে শীতল প্রভাব কমে আসবে।

সর্বশেষ সংবাদ

ট্রাম্পের শপথ : ৪৮ কিলোমিটার এলাকায় ৭ ফুট উঁচু বেড়া

আগামী সোমবার (২০ জানুয়ারি) ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের শপথ ঘিরে নিরাপত্তা...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ