সঙ্গী পাওয়ার জন্য অনেকে ডেটিং ওয়েবসাইটগুলোয় প্রবেশ করেন। কেউ কাছের মানুষদের সাহায্য নেন। কেউবা নিজেই আশপাশে সঙ্গী খুঁজেন; শারীরিক ভাষায় প্রস্তাব দেন। কেউ আবার বেশ সাহসী; তারা সরাসরি প্রস্তাব করে বসেন। তবে স্পেনে জীবনসঙ্গী খুঁজে পাওয়ার নতুন এক পন্থা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এ পন্থার নাম আনারস ডেটিং বা পাইনঅ্যাপল ডেটিং।
অনলাইনের বাইরের এ ডেটিং পন্থা নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮ ও এলে ইন্ডিয়া। আনারস ডেটিং বা পাইনঅ্যাপল ডেটিংয়ের মাধ্যম সঙ্গী খুঁজে পাওয়া খুবই সহজ ও ঝামেলা মুক্ত। এ পদ্ধতি অবলম্বন করলে আপত্তিকর পরিস্থিতিতে পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই এটি খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
সংবাদমাধ্যম দুটি জানাচ্ছে, স্পেনের জনপ্রিয় সুপারমার্কেট মেরকাদোনায় চালু হয়েছে এই ধারা। খুব সাধারণ একটা সংকেতের মাধ্যমে বোঝানো হচ্ছে, আমি একা, জীবনসঙ্গী খুঁজছি। শপিং কার্টে আনারস উল্টো করে রাখা মানেই আপনি একা। এই আনারস দেখে আগ্রহীরা এগিয়ে এসে আপনার সঙ্গে কথা বলবে।
টিকটকের মাধ্যমে প্রথম এটি ভাইরাল হয়। বিশেষ করে জেন–জিদের নজর কাড়ে। মজার বিষয় হচ্ছে, এ কারণে আনারসের বিক্রিও বেড়ে গেছে অনেক। এখানেই শেষ নয়, ভালোবাসা খুঁজে পাওয়ার সময়সীমা হচ্ছে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টা।
আনারস ছাড়াও আরও কিছু উপাদান রয়েছে। স্পেনভিত্তিক ইংরেজি প্রকাশনা অলিভ প্রেস বলছে, অনেকে তাদের শপিং কার্টে চকলেট বা মিষ্টি রাখছেন, যেগুলো দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের সংকেত। যাঁরা ক্ষণস্থায়ী সম্পর্কের সন্ধান করছেন, তারা ট্রলিতে ডাল বা লেটুস রাখছেন। বিবিসির এক প্রতিবেদন বলছে, টেলিভিশন তারকা এবং কৌতুক অভিনেতা ভিভি লিন আনারস ডেটিং ট্রেন্ডকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি টিকটকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, যেখানে মেরকাদোনায় ওয়াইন আইলের দিকে তার শপিং কার্ট ঠেলে দিতে দেখা গেছে। সেখানে তিনি ভক্তদের জানিয়ে দেন, ‘মেরকাদোনায় হুক আপ করার সময় সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টা।’
অনেকে বলছেন, এই ধারা অনুশীলনে ক্ষতি তো নেই। ডেট না করলেও একটা আনারস নিয়েই না হয় বাড়ি ফেরা হলো।