আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) প্রেসিডেন্ট নাওয়াফ সালামকে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন। গতকাল সোমবার (১৩ জানুয়ারি) তাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত করা হয়। খবর রয়টার্স
এদিকে নাওয়াফ সালামকে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহ। তাদের অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের বাদ দেয়ার জন্য কাজ করবেন।
নাওয়াফ সালামকে প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত করার মধ্য দিয়ে লেবাননে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ গত বছর ইরান সমর্থিত শিয়া মুসলিম সংগঠন হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে তারা এক প্রকার দুর্বল হয়ে পড়েছে। এছাড়া সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে গোষ্ঠীটি। কিন্তু গত বছরের ডিসেম্বরে পতন ঘটে আসাদের। এতে আরও চাপে পড়েছে হিজবুল্লাহ।
এদিকে জোসেফ আউনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া এবং নাওয়াফ সালামের প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশটির সরকার ব্যবস্থায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা অচলাবস্থার অবসান ঘটল। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে লেবাননের প্রেসিডেন্ট পদটি খালি ছিল। এ ছাড়া এত দিন পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সক্ষমতার ভিত্তিতে দেশটির মন্ত্রিপরিষদ পরিচালিত হতো।
সৌদি আরবের জোরালো চাপের পর গত বৃহস্পতিবার লেবাননের পার্লামেন্টে ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন জোসেফ আউন। আর এরপরই দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
নাওয়াফ সালাম এর আগেও দুবার প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য প্রার্থী ছিলেন। তিনি ব্যাপকভাবে একজন সংস্কারবাদী হিসেবে পরিচিত। এছাড়া তিনি সুন্নি মুসলিম। আর শুধু সুন্নি মুসলিমরাই লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।
কিছু সংবাদমাধ্যম নাওয়াফ সালামের প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হওয়ার বিষয়টিকে ‘সুনামির’ সঙ্গে তুলনা করেছে।
হিজবুল্লাহর সংসদীয় ব্লকের নেতা মোহাম্মদ রাদ সাংবাদিকদের বলেন, সালামকে মনোনীত করার পদক্ষেপ দেশে ‘বিভাজনের’ বীজ বপন করেছে। তিনি আশা করেন যে, মন্ত্রিসভা দেশের স্বীকারোক্তিমূলক ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তিকে সম্মান করবে।