সালমান খানের ফার্ম হাউজ যা তার বোন অর্পিতার নামে অর্পিতা ফার্ম হাউজ নামে পরিচিত। মুম্বাই শহরের বাইরে পানভেল এলাকায় অবস্থিত এই ফার্ম হাউজে প্রচুর গাছপালা, খোলা জায়গা এবং পশুপাখির জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। তবে এই ফার্ম হাউজ নিয়ে প্রায়ই সমালোচনা শিকার হন বলিউডের এ অভিনেতা।
এখানে সালমান খানের নিজস্ব পশুপাখি রয়েছে, যেমন ঘোড়া, কুকুর, এবং অন্য বিভিন্ন পশু। তিনি বিভিন্ন ধরনের ফল এবং শাকসবজিও উৎপাদন করেন। এটি মূলত একটি অর্গানিক ফার্ম।
অন্যদিকে ১৫০ একর জায়গায় অবস্থিত এ ফার্ম হাউজে বিশাল বিশাল বাড়ি এবং সুইমিং পুলও রয়েছে। রয়েছে আধুনিক সরঞ্জাম সম্পন্ন ব্যায়ামাগার। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ফার্ম হাউজে বিশ্রাম নেওয়া এবং বন্ধু ও পরিবারের সদস্যরা একসাথে সময় কাটানোর জন্য রয়েছে বহুবিধ সুবিধা।
সালমানের ফার্ম হাউজে তার নিজস্ব স্টুডিও এবং সিনেমার শুটিং করার জায়গা রয়েছে, যেখানে তিনি তার সিনেমার দৃশ্য ধারণ বা অন্যান্য কাজও করে থাকেন।
তবে এতকিছুর পরেও এই ফার্ম হাউজটি বেশ কিছু কারণে বিতর্কিত। সালমান খানের ফার্ম হাউজে প্রাণী শিকার সংক্রান্ত ঘটনা নয়ে বিতর্কিত। এখানে কিছু অভিনেতা এবং সালমান নিজে পশু শিকার করেছিলেন, যার ফলে বন বিভাগের তদন্ত শুরু হয়। ২০০৬ সালে সালমান খানের বিরুদ্ধে বন্য প্রাণী শিকার করার অভিযোগ ওঠে।
অন্যদিকে ফার্ম হাউজ নির্মাণের সময় কিছু পরিবেশবিদদের অভিযোগ ছিল যে, এটি স্থানীয় বনভূমি বা প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। একইসাথে তার ফার্ম হাউজের জমি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে বিতর্কও তৈরি হয়েছে।
বিতর্কের মূল কারণ সালমান খান তার ফার্ম হাউজে বেশ কয়েকজন বিখ্যাত অভিনেত্রীর আসা যাওয়া নিয়ে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ চিত্র। জানা গেছে সালমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সাবেক প্রেমিকা ক্যাটরিনা কাইফ প্রায়ই সালমানের ফার্ম হাউজে যেতেন। বিশেষত তাদের সম্পর্ককালীন সময়ে।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও সালমান খানের ফার্ম হাউজে গিয়েছিলেন, বিশেষ করে তাদের একসাথে কাজ করার সময়। একই অভিযোগ আনা হয় দিশা প্যাটানির বিরুদ্ধেও। সালমান খান এবং দিশা প্যাটানি অনেক সময় একসাথে বিভিন্ন জায়গায় যান, এবং দিশাও ফার্ম হাউজে যেতে দেখা গেছে।
এছাড়া, সালমানের ফার্ম হাউজে অন্যান্য অভিনেত্রী এবং তার বন্ধু-পরিবারও আসেন, তবে এটি সাধারণত একটি প্রাইভেট জায়গা, তাই এর সব তথ্য বা ছবি সাধারণত প্রকাশ্যে আসে না।