মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজের সীমা নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট প্যাকেজ সংখ্যার সীমা তুলে নিয়েছে সংস্থাটি। গ্রাহক এখন ঘণ্টা হিসেবেও প্যাকেজ কিনতে পারবেন। পাশাপাশি বিভিন্ন মেয়াদের প্যাকেজও দিতে পারবে অপারেটররা।
রোববার বিটিআরসির জারি করা মোবাইল ফোন অপারেটরসমূহের ডেটা এবং ডেটা–সংশ্লিষ্ট প্যাকেজ–সম্পর্কিত নির্দেশিকায় মুঠোফোন ইন্টারনেট প্যাকেজের ক্ষেত্রে এসব সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে প্রায় ১৫ মাসের মাথায় ইন্টারনেট প্যাকেজ বিক্রির ক্ষেত্রে অপারেটরদের ওপর থাকা শর্তগুলো শিথিল হলো।
মোবাইল ইন্টারনেটে প্যাকেজের যেসব শর্ত শিথিল হলো-
নতুন নির্দেশিকায় অপারেটররা তিন ধরনের প্যাকেজ দিতে পারবে। প্রথমটি হলো– নিয়মিত প্যাকেজ। এ প্যাকেজগুলো সব গ্রাহকের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এর মেয়াদ হবে সর্বনিম্ন ১৫ দিন।
গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ। এটিতে গ্রাহকের ব্যবহার ও গ্রাহকপ্রতি গড় রেভিনিউর ওপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির গ্রাহকের জন্য। এ ধরনের প্যাকেজের মেয়াদ হবে সর্বনিম্ন তিনদিন।
এছাড়া থাকবে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজ নামে একটি প্যাকেজ। যা বাজারের অবস্থা ও চাহিদা যাচাই-বাছাই করতে এবং ধরন বুঝতে গ্রাহকদের দেওয়া হবে। এটার মেয়াদ হবে সর্বনিম্ন ৭ দিন।
তিন প্যাকেজের বাইরেও গ্রাহকের স্বার্থ ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অপারেটররা নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্যাকেজ নির্ধারণ করতে পারবে। তার আওতায় ঘণ্টাভিত্তিক ও ১-৩ দিন মেয়াদি প্যাকেজ করার সুযোগ দিয়েছে বিটিআরসি।
নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি ঘণ্টার জন্য সর্বোচ্চ ২০০ এমবি (মেগাবাইট), এক দিনের জন্য সর্বোচ্চ ৩ জিবি (গিগাবাইট), দুদিনের জন্য সর্বোচ্চ ৫ জিবি এবং তিন দিনের জন্য সর্বোচ্চ ৮ জিবি প্যাকেজ দিতে পারবে অপারেটররা।