spot_img

সিলেটকে হারিয়ে চিটাগাং কিংসের হ্যাটট্রিক জয়

অবশ্যই পরুন

প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের কাছে হেরে বিপিএলের ১১তম আসর শুরু করেছিল চিটাগং কিংস। তবে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টুর্নামেন্টে হ্যাটট্রিক জয় তুলে নিয়েছে বন্দরনগরীর দলটি। চতুর্থ ম্যাচে সিলেটকে রানে হারিয়েছে মিথুন-শরিফুলরা। এতে ৬ পয়েন্ট টেবিলে বরিশালকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে চিটাগং কিংস। ৫ ম্যাচ খেলে বরিশালের পয়েন্ট ৬ হলেও রান রেটে এগিয়ে রয়েছে তারা।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) আগে ব্যাট করে সিলেটকে ২০৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল চিটাগং কিংস। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান তুলতে পেরেছে তারা। এতে ৩০ রানের জয় পেয়েছে চিটাগং কিংস।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় সিলেট। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ডাক আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার পল স্টার্লিং। তিনে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত রান তোল চেষ্টা করেন জাকির হাসান। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি।

১৯ বলে ২৫ রান করে আউট হন জাকির। ৯ বরে ৭ রান করে তাকে সঙ্গ দেন আরেক ওপেনার রনি তালুকদার। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি অ্যারন জোন্সও। ১৮ বলে ১৫ রান করেন এই মার্কিন ব্যাটার। এরপর জাকের আলীকে সঙ্গে নিয়ে সিলেটের হাল ধরেন জর্জি মানজি।

দুজনের ব্যাটে ভর করে এগোতে থাকে সিলেট। ৩৬ বলে ফিফটি তুলে নেওয়ার পর পরের বলে ক্যাচ আউট হন মানজি (৫২)। এতে ছন্দ হারায় স্বাগতিকরা। এরপর পিচে এসে ১৭তম ওভারে আলিসকে টানা দুই ছক্কা হাঁকান আরিফুল ইসলাম। তবে রাউন্ড দ্য উইকেটে গিয়ে এক বল পরেই সিলেট অধিনায়ককে ক্যাচ আউট করেন আলিস।

এতে ১৮ বলে সিলেটের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫৬ রান। ১৮তম ওভারে ৮ রান খরচ করে তানজিম সাকিবকে তুলে নেন ওয়াসিম জুনিয়র। তবে এক প্রান্ত থেকে লড়াই করতে থাকেন জাকের আলী।

শেষ পর্যন্ত জাকের আলী ২৩ বলে ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকলেও হার এড়াতে পারেনি সিলেট। নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান তুলতে পেরেছে তারা। এতে ৩০ রানের জয় পেয়েছে চিটাগং কিংস।

চিটাগং কিংসের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন ওয়াসিম জুনিয়র। এ ছাড়াও আলিস আল ইসলাম দুটি, নাবিল সামাদ, শরিফুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ নেন একটি করে উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উসমান খান শুরুটা ভালো করলেও মাত্র ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে সুযোগ পাওয়া পারভেজ ইমন। তবে তিনে ব্যাট করতে নেমে গ্রাহাম ক্লার্ককে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন উসমান।

৩২ বলে ফিফটি তুলে নেন এই পাক ব্যাটার। দুই বল পরেই ক্যাচ আউট হন তিনি। অপর প্রান্ত থেকে ২৮ বলে ফিফটি তুলে নেন ক্লার্ক। এরপর ৩৩ বলে ৬০ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর ১৯ বলে ২৮ রান করে ক্লার্ককে সঙ্গ দেন মোহাম্মদ মিথুন।

এরপর শামীম হোসেন ১ রান আউট হলে চিটাগংয়ের হাল ধরেন হায়দার আলি। শেষ পর্যন্ত এই পাকিস্তানি ব্যাটারের ১৮ বলের অপরাজিত ৪২ রানে ভর করে ২০৩ রানের বড় পুঁজি পায় চিটাগং কিংস।

সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন তানজিম সাকিব। এ ছাড়াও নাহিদুল ইসলাম, রুয়েল মিয়াহ ও আরিফুল হক একটি করে উইকেট নেন।

সর্বশেষ সংবাদ

বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করবেন বাংলাদেশের জেসি

নারী এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি, অ-১৯ নারী এশিয়া কাপের অভিজ্ঞতার পর এবার বাংলাদেশের প্রথম কোন নারী হিসেবে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ