আজ রোববার সকালে রাজধানীতে একটি অভিজাত হোটেলে এক অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস থেকে শুরু করে সকলের সমালোচনা করা যাবে।
তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ মাসে প্রশ্ন করার স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে সরকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আছে এখন। প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে সবার ক্রিটিসাইজ করা যাবে।’
প্রেস সচিব জানান, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে সবার আগে গণমাধ্যমকে স্বাধীন করতে হবে। শক্তিশালী গোষ্ঠীকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চাইলে এখনই আদর্শ সময়। কারণ এই সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করেনি, করবেও না।
তিনি বলেন, আমাদের এখানে একটা লবিং গ্রুপ আছে, যাদের আমরা এখনও প্রশ্ন করতে পারিনি। আমরা এখনও ইট কীভাবে তৈরি করে– এমন গুরুতর প্রশ্ন করতে পারিনি। তৈরি পোশাক খাতে কীভাবে কর্মসংস্থান তৈরি করা হয়, সেটিও আমরা জিজ্ঞেস করতে পারিনি। পত্রিকায় দুই দিন পরপর খবর আসে, অমুক ফ্যাক্টরি গ্রিন হয়েছে এখন আমাদের ২১৫টি গ্রিন ফ্যাক্টরি আছে। আসলেই কি এগুলো ‘গ্রীন’? আমি দুই একটি গ্রিন ফ্যাক্টরি চিনি যেগুলো নদীর কিনারে।
এগুলো কেমন গ্রিন ফ্যাক্টরি? তারা কি সত্যই গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড মেনে গ্রিন হচ্ছে? নাকি একটি এজেন্সি সার্টিফিকেট দিয়ে দিচ্ছে এবং তারপর কী হচ্ছে কেউ জানতে চাচ্ছে না! আমাদের (সাংবাদিকদের) দায়িত্ব এগুলো প্রশ্ন করা। অনেক বছর ধরেই আমরা বড় বড় শিল্পকে মুখোমুখি করতে পারিনি। তাদের প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে ‘কর্মসংস্থান’ তৈরি, আর তা শোনার পরই প্রশ্ন করা বন্ধ হয়ে যায়। এটি অনেক বছর ধরে উন্নয়নের ন্যারেটিভ হয়ে আছে।
রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে অক্সফামের উদ্যোগে ডেভেলপমেন্ট মিডিয়া ফোরামের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।