spot_img

গাজায় নিহত বন্দীর পরিচয় নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল

অবশ্যই পরুন

গাজায় নিহত বন্দী হামজা জিয়াদনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। হামজা আরেক বন্দী ইউসেফ জিয়াদনের ছেলে। তাদের দক্ষিণী শহর রাফাহর একটি ভূগর্ভস্থ টানেলের পাশে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শুক্রবার ১০(জানুয়ারি) জানিয়েছে, হামজা ইসরায়েলি বেদুঈন। তার বাবার সঙ্গে হামাস নেতৃত্বাধীন যোদ্ধাদের হাতে বন্দী হয়েছিল তিনি। ফরেনসিক পরীক্ষা শেষে মৃত্যুর খবর পরিবারের কাছে পৌঁছানো হয়েছে।

এই সপ্তাহের শুরুর দিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, উভয় বন্দীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদেহ দুটি সশস্ত্র হামাস বা অন্য কোনও ফিলিস্তিনি মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সদস্যদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মৃত্যু সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি এবং কীভাবে ঘটেছে তাও পরিষ্কার নয়।

হামাসের পক্ষ থেকে এখনও কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এই বন্দীদের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে যখন কাতার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মিশর মধ্যস্থতার মাধ্যমে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করার এবং অবশিষ্ট ইসরায়েলি বন্দীর মুক্তির জন্য আবারও একটি চুক্তির চেষ্টা করছিল।

বেশিরভাগ পরিবারের প্রতিনিধিত্ব করা (বন্দী ও নিখোঁজ পরিবার ফোরাম) ইসরায়েল সরকারের প্রতি হামাসের সঙ্গে একটি চুক্তি শেষ করার এবং বন্দীদের ফিরিয়ে আনার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ইউসেফ এবং হামজাকে আগের চুক্তির মাধ্যমে বাঁচানো সম্ভব ছিল।

এই আলোচনা এক বছর ধরে দুটি মূল বিষয় নিয়ে স্থবির রয়েছে। হামাস বলেছে, তারা আরও বন্দী মুক্তি দেবে যদি ইসরায়েল গাজা থেকে তার সব সেনা প্রত্যাহার করে এবং যুদ্ধ শেষ করে।

ইসরায়েল বলেছে, তারা যুদ্ধ শেষ করবে না যতক্ষণ না হামাস সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়ে এবং সমস্ত বন্দী মুক্তি পায়।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইসরায়েল গাজায় আক্রমণ শুরু করে ১৫ মাস আগে, যখন হামাস যোদ্ধারা তাদের সীমান্ত পেরিয়ে আক্রমণ করে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫০ জনেরও বেশি বন্দী করে। সেই থেকে গাজায় ৪৬ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

সূত্র: রয়টার্স

সর্বশেষ সংবাদ

সিরিয়ায় আসাদ অনুগত কর্মকর্তার জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত ও তথ্যদাতা সরকারি এক কর্মকর্তার জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ