কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গতকাল সোমবার তার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। প্রায় এক দশক তিনি এই পদে ছিলেন। এই সিদ্ধান্তের পর সারা বিশ্বের রাজনৈতিক মহলে তুমুল আলোচনা হচ্ছে ।
আলোচনায় রয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারীও রয়েছেন। তার নাম, অনিতা আনন্দ। এছাড়া যারা প্রধানমন্ত্রী পদের জন্যে জোর আলোচনায় রয়েছেন তারা হলেন, মেলানী জোলি, ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড, মার্ক কার্নি ও ফ্রাঙ্কোইস-ফিলিপি চ্যাম্পাগনি। তবে এগিয়ে রয়েছেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতাই।
অনিতা আনন্দ কে?
অনিতা কুইন্স ইউনিভার্সিটি এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা লাভ করেন ও স্নাতক হন। অনিতা ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয় ও টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন।
অনিতা আনন্দ জাস্টিন ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টির সঙ্গেও যুক্ত। বর্তমানে তিনি সরকারের পরিবহন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে কর্মরত আছেন। অনিতার বয়স ৫৭ বছর। তিনি নোভা স্কটিয়ার কেন্টভিলে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম এসভি আনন্দ। মায়ের নাম এস.ভি. (অ্যান্ডি) আনন্দ, দুজনেই ছিলেন ভারতীয় চিকিৎসক। অনিতা স্বরাষ্ট্র ও বানিজ্য মন্ত্রণালয়েও কাজ করেছেন।
তালিকায় আরও দুজন নারী রয়েছেন। এর মধ্যে মেলানী জোলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন। ৪৫ বছর বয়সী এই আইনজীবী অক্সফোর্ডে পড়াশোনা করেছেন। ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানাতে বেশ কয়েকবার দেশটিতে যান তিনি। ধারণা করা হয়, তাঁকে রাজনীতিতে এনেছেন জাস্টিন ট্রুডো।
আরেক নারী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড ট্রুডোর বেশ ঘনিষ্ঠি হিসেবে পরিচিত। তিনি মন্ত্রিপরিষদের সবচেয়ে প্রভাবশালী মন্ত্রী। গত ডিসেম্বরে ডেপুটি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। ৫৬ বছর বয়সী এই অর্থমন্ত্রীরও সমালোচনা হচ্ছে।
এর বাইরে মার্ক কার্নি ট্রুডোর বিশেষ উপদেষ্টা ছিলেন। কানাডা ও ইংল্যান্ডের ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি। আর ফ্রাঙ্কোইস-ফিলিপি চ্যাম্পাগনি বতর্মানে উদ্ভাবন, বিজ্ঞান ও শিল্প মন্ত্রণালয় সামলাচ্ছেন।