অবিশ্বাস্য কিছু না হলে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় প্রথম ইনিংসের পরই। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে পাকিস্তান লড়াইয়ের আভাস দিলেও তা কেবল বাড়িয়েছে অপেক্ষা। ১০ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে প্রোটিয়ারা।
প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ৬১৫ রানের জবাবে মাত্র ১৯৪ রানে গুটিয়ে ফলো অনে পড়ে পাকিস্তান। সেখান থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়িয়ে স্কোরবোর্ডে তুলে ৪৭৮ রান। ফলে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় মোটে ৫৮ রান।
রানটা ৭.১ ওভারেই ছুঁয়ে কোনো উইকেট না হারিয়ে জিতে যায় প্রোটিয়ারা। ডেভিড বেডিংহাম ৩০ বলে ৪৭ ও এইডেন মার্করাম অপরাজিত ছিলেন ১৩ বলে ১৪ রান করে। তাতে ২ টেস্টের সিরিজে ধবলধোলাই হয় পাকিস্তান।
এদিন ১ উইকেটে ২১৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করে পাকিস্তান। অধিনায়ক শান মাসুদ ব্যাটিং শুরু করেন ১০২ রান নিয়ে। দিনের দশম ওভারে খুররাম শাহজাদকে (১৮) হারায় তারা। কামরান গুলাম থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ফেরেন ২৮ করে।
পরে সাউদ শাকিলকে নিয়ে শান মাসুদ বাড়ান দলের রান। তবে দ্বিতীয় নতুন বল নেবার পর পরই ফিরতে হয় তাকে। শাকিলকে বিদায় করে প্রথমে ৫১ রানের জুটি ভাঙেন রাবাদা। আর মাফাকার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে থামে মাসুদের ২৫১ বলে ১৪৫ রানের ইনিংস।
দলের হাল ধরার চেষ্টা চালান রিজওয়ান ও সালমান। দু’জনে গড়েন ৮৮ রানের জুটি। ৪১ রান করা রিজওয়ানকে ফিরিয়ে জমে যাওয়া এই যুগলবন্দি ভাঙেন কেশাভ মহারাজ। ৪৮ রান আসে সালমানের ব্যাটে।
পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেন আমের জামালও (৩৪)। তবে কেশভ মহারাজ থামান তাকে। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মির হামজাকে ফিরিয়ে পাকিস্তানের ইনিংস গুটিয়ে দেন রাবাদা। ম্যাচের প্রথম দিনে চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়া সাইম আইয়ুব এবারো ব্যাটিংয়ে নামেননি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন রাবাদা ও মহারাজ। দুই উইকেট নেন মার্কো ইয়ানসেন। তাতে দেশের মাটিতে এ নিয়ে টানা তৃতীয়বার পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করল দলটি। সব মিলিয়ে ২০০৭ সালের পর দক্ষিণ আফ্রিকায় কোনো টেস্ট জেতেনি পাকিস্তান।