সবজির মধ্যে অতি পরিচিত পুঁই। তবে এই পুঁই শাকের বীজে রয়েছে নানা রোগের ওষুধ।সবজি হিসেবে খেলে সেরে যাবে নানা রোগ। কেবল পুঁইশাকের বীজ খেলেই যে আপনি এই তালিকার সব উপকারিতা পেয়ে যাবেন, তা কিন্তু নয়। তবে পুঁইশাকের বীজ রুচিবর্ধক হিসেবে কাজ করে। তাই এটি খেলে অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণও সহজ হয়ে ওঠে, এমনকি সেসব খুব একটা সুস্বাদু না হলেও। আর এদিকে পুঁইশাকের বীজের খানিকটা নিজস্ব পুষ্টিগুণ তো আছেই। সবটা মিলিয়ে আপনি সুস্থ থাকবেন।
আসুন জানি এর উপকারীতা সম্পর্কে
১. পুঁই শাকের বীজ নিয়মিত খেলে রক্তে ফ্যাট বাড়ার শঙ্কা কমে যায়। এই বীজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে।
২.পুঁইশাকের বীজ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। পাকস্থলী কিংবা বিভিন্ন ক্যানসার রোগ উপশমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই বীজ।
৩.কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে নীলচে কালো রঙের দেখায় এই পুঁইশাকের বীজ। এই পুঁই বীজে ফলিক এসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন ও জিংক রয়েছে।
৪.মূলত রান্নায় সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয় এই বীজ। খেতে সুস্বাদু হলেও এর ভেষজ গুণ অগাধ।
৫.ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা পুঁইশাকের বীজ খেতে পারে। এই বীজ রক্তে গ্লুকোজ এর মাত্রা স্বাভাবিক রাখে। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।
পুষ্টিবিদ অভিজিৎ সেন মন্তব্য করেন, বিভিন্ন ঋতুকালীন সবজি খাওয়া উচিত। পুঁইশাকের পাশাপাশি তার বীজ শরীরের পক্ষে ভালো যা নানা ওষুধের কাজ করে।
বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কায় পুঁইশাকের বীজ খাওয়ার চল আছে। অবশ্য ব্যাপকভাবে সবার কাছেই যে পুঁইশাকের বীজ গ্রহণযোগ্য, সেটিও নয়। তবে পুঁইশাকের বীজ খাওয়ার অভ্যাস না থাকলেও কেন তা খাওয়া প্রয়োজন, তা তো বুঝতেই পারছেন।