সিডনি টেস্টে সফরকারী ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে এক দশক পর বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি নিজেদের করে নিলো স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে প্রায় সমান রান স্কোরবোর্ডে জমা করে দু’দল। জেতার জন্য ১৬২ রানের টার্গেট পায় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৬ উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচসহ ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতে স্বাগতিকরা।
জাদেজা-ওয়াশিংটন জুটিতে তৃতীয় দিন শুরু করে ভারত। দলীয় স্কোরবোর্ডে ৬ রান যোগ করতেই কামিন্সের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন রবীন্দ্র জাদেজা। ওয়াশিংটন সুন্দরও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। তাকেও বিদায় করেন অজি অধিনায়ক।
ভারতের ইনিংস আর বেশিদূর এগোতে দেননি আগের দিন শেষ বিকেলে তাণ্ডব চালানো বোল্যান্ড। সিরাজ ও বুমরাহ দুজনকেই বিদায় করেন এই অজি পেসার। শেষ পর্যন্ত ১৫৭ রানে শেষ হয় সফরকারীদের দ্বিতীয় ইনিংস।
নির্দিষ্ট রান তাড়া করতে নেমে ‘বাজবল’ স্টাইলে খেলতে থাকেন দুই অজি ওপেনার কনস্টাস ও উসমান খাজা। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে দলীয় ৩৯ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন কৃষ্ণা। ব্যক্তিগত ২২ রানে সাজঘরে ফেরেন মেলবোর্নে অভিষিক্ত হওয়া তরুণ ওপেনার কনস্টাস।
নতুন ব্যাটার লাবুশানের ব্যাটও হাসেনি এদিন। কৃষ্ণার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে মাত্র ৬ রানেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।
ব্যর্থ স্টিভেন স্মিথও। মাত্র ৪ রান করে লাবুশানের মতোই জয়সওয়ালের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন অজিদের নাম্বার ৪।
স্মিথের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন মিডল অর্ডারের দুই ব্যাটার ওয়েবস্টার ও হেড। দুজনই শেষ পর্যন্ত দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। হেড ও ওয়েবস্টারের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ৩৪ ও ৩৯ রান।
১০ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে বোল্যান্ডের হাতে। অপরদিকে ৩২ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হন জাসপ্রিত বুমরাহ।
উল্লেখ্য, দুই দলের মুখোমুখি দেখায় সবশেষ ২০১৪–১৫ মৌসুমে বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর ২০১৬–১৭ মৌসুম থেকে শুরু করে ভারতই বিশেষ এই ট্রফির প্রতিটি সিরিজ জিতে আসছে। দীর্ঘ এক দশক পর এই ট্রফি ফিরলো অজিদের কাছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে পারে প্যাট কামিন্সের দল।