বাংলাদেশ থেকে অবৈধ পথে যারা ভারতে অনুপ্রবেশ করছেন, তাদের একটা বড় অংশ গার্মেন্টসশ্রমিক- এমনটাই মন্তব্য করেছেন ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
এই অনুপ্রবেশকারীদের বড় অংশই মুসলিম, হিন্দু নন- এই তথ্য বিএসএফের কাছ থেকে ইতোমধ্যেই পেয়েছে বিবিসি। এখন আসামের মুখ্যমন্ত্রীও সেই একই কথা স্বীকার করেছেন বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে।
বুধবার সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বিষয়টি উত্থাপন করেন বলে ভারতের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
তিনি মন্তব্য করেন যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দেয়ার ফলেই অনুপ্রবেশ বেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অস্থিরতা শুরু হতেই অর্থনীতি ভেঙে পড়ে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশে যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের মানুষ তারাই সেখানকার সংখ্যালঘুদের তুলনায় বেশি প্রভাবিত হয়েছেন। পোশাকশিল্পেও বেশির ভাগ শ্রমিকই সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের মানুষ। তাই ভারতে অনুপ্রবেশ বেড়েছে এবং এদের বেশির ভাগই বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের মানুষ, যাদের আমরা ভারতে সংখ্যালঘু বলি।’
‘আমাদের দেশের অনেক পোশাক কারখানার মালিক বেআইনিভাবে সস্তা শ্রম আমদানি করার জন্য এদের ভালো পরিমাণ অর্থ দিয়ে সহায়তা করছে,’ জানিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী।
হিমন্ত বিশ্বশর্মা আরো বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা ‘ব্যাপক নির্যাতন সহ্য করলেও’ ভারতে আসার চেষ্টা করছেন না। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায়- ‘তারা দেশপ্রেমিক’।
ওই আলাপচারিতার একটি ভিডিওতে হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে বলতে শোনা গেছে, ‘গত পাঁচ মাসে অন্তত আসামে আমরা একজনও বাংলাদেশী হিন্দুকে আসতে দেখিনি।’
তিনি এটাও বলেছেন যে ‘আমাদেরও উচিত নয় যে তাদের ভারতে আসতে উৎসাহ দেয়া।’
সূত্র : বিবিসি