৩ জানুয়ারি ইরানের বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর (আইআরজিসি) অভিজাত কুদস ফোর্সের প্রধান কাশেম সোলাইমানির ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে বুধবার (১ জানুয়ারি) ইরানের রাজধানী তেহরানে আয়োজন করা হয় স্মরণ সভা। এসময় ইরাকে ২০২০ সালে মার্কিন হামলায় নিহত কাশেম সোলেইমানিসহ অন্যান্য শহীদদের স্মরণ করেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
খামেনির দাবি, প্রতিরোধ বাহিনীকে পুনরুজ্জীবিত করাই ছিল কাশেম সোলাইমানির জীবনের অন্যতম লক্ষ্য। সিরিয়া প্রসঙ্গে ইরানের সর্বোচ্চ এই নেতা বলেন, বাশার আল আসাদের পতনের পর নৈরাজ্য আর অরাজকতার দিকে ধাবিত হচ্ছে দেশটি। এমন পরিস্থিতিতে বিদেশি শক্তিগুলোকে বিতারিত করতে সিরিয়ার তরুণ সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
খামেনি বলেন, সিরিয়া অন্য কোনো দেশ বা অন্য কোনো শক্তির অধীনে থাকবে না। সিরিয়ার নিয়ন্ত্রণ সে দেশের নাগরিকরাই করবে। নিঃসন্দেহে যারাই সার্বভৌমত্ব বিনাশ করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধেই প্রতিরোধ গড়ে তুলবে তরুণ সমাজ। কোনো সন্দেহ ছাড়াই বলতে পারি, এটি ঘটবে।
বাশার আল আসাদের পতনে সিরিয়ায় নড়বড়ে হয়েছে ইরানের অবস্থান। এমন পরিস্থিতিতে লেবানন, ইয়েমেনসহ অন্য দেশগুলোর মতো সিরিয়াতেও যে প্রতিরোধ বাহিনী গঠনের দিকে ঝুঁকছে ইরান, সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির নিরাপত্তা প্রধান।
ইরানের নিরাপত্তা প্রধান আলি আকবর আহমাদিয়ান বলেন, সিরিয়ায় ইসরায়েলের বর্বরতা কিংবা সকল ধরনের চাল প্রতিহত করা হবে। দেশটিতে নতুনভাবে আবারও প্রতিরোধ বাহিনী গঠনের কাজ চলছে। আগামী বছরগুলোতে এই প্রতিরোধ বাহিনীই সিরিয়াকে রক্ষা করবে।
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর, ২০১২ সালে মিত্র বাশার আল আসাদের সরকারকে পশ্চিমা মদদপুষ্ট বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সহযোগিতা করেছিলেন আইআরজিসি কমান্ডার কাশেম সোলেইমানি। ইরানের সহযোগিতায় সিরিয়ায় দীর্ঘস্থায়ী হয় আসাদের রাজত্ব। তবে গত ৮ ডিসেম্বর এইচটিএস’র নেতৃত্বে সংগঠিত বিদ্রোহে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে রাশিয়ায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হন আসাদ।