বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে আজ শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত হয়েছেন। তাদের জন্য শহীদ মিনারে একটি নির্ধারিত স্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইসাথে দলে দলে যোগ দিচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শহীদ মিনারে আসতে শুরু করেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা ও বিপ্লবীরা। মিরপুর-১২ থেকে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ যোগ দিতে এসেছেন শহীদ শাহরিয়ার হাসান আলভীর মা সালমা বেগম ও ছোট বোন। সালমা বেগম জানান, আমরা মিরপুর-১২ থেকে এসেছি। আমার ছেলে শাহরিয়ার হাসান আলভী ৪ আগস্ট মিরপুর-১০ ফায়ার সার্ভিসের সামনে আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন। তিনি ঢাকা পলিটেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে শহীদ মিনারে যোগদান করতে দলে দলে শহীদ মিনার এলাকায় আসছেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় ছাত্ররা নানা স্লোগান দিতে থাকে, যেমন: ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ‘দিল্লি না ঢাকা ঢাকা’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’ ইত্যাদি।
শহীদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন চট্টগ্রাম, নাটোর, পঞ্চগড়, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ছাত্ররা। তারা শহীদ মিনারের আশপাশে অবস্থান নিতে দেখা যায়। এ সময় সিলেট থেকে আসা শিক্ষার্থীরাও শহীদ মিনার এলাকায় অবস্থান করেন। তারা বলেন, আমরা চাই না বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যাক। আমরা চাই বিপ্লব আমাদের ভবিষ্যতের স্বপ্নের দেশ গড়তে ভূমিকা রাখুক।
এছাড়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে আজ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করার কথা ছিল। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘোষণাপত্র পাঠ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে, সে বিষয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। এই প্রেক্ষাপটে গত সোমবার রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনকারী ছাত্ররা জানায়, আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি পালন করা হবে।