থার্টি ফার্স্ট নাইট এবং ইংরেজি নববর্ষ ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়। পুলিশ ও পরিবেশ অধিদপ্তর কঠোর অবস্থান নিয়েছে, বিশেষ করে আতশবাজি ও ফানুস উড়ানো এবং আইন অমান্য করলে মোবাইল কোর্টসহ জেল জরিমানার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানান, বছরের শেষ দিন এবং ইংরেজি নববর্ষে অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই, তবে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সজাগ রয়েছে পুলিশ।
এবার থার্টি ফার্স্ট নাইট এবং ইংরেজি নববর্ষের উদযাপন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে পালিত হবে। ডিএমপি ১১ দফা নির্দেশনা জারি করেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
– অনুমতি ছাড়া উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান, সভা, সমাবেশ, র্যালী, নাচ-গান বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।
– ঢাকার মহানগরীতে আতশবাজি, পটকা ফোটানো এবং ফানুস উড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
– পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, শব্দদূষণ রোধে ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন থাকবে এবং আইন ভঙ্গ করলে মোবাইল কোর্টসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএমপি কমিশনার জানান, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ঢাকার সব বার বন্ধ থাকবে। গুলশান, ৩শ ফিট, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট থাকবে এবং এসব এলাকায় জনসাধারণের চলাচল সীমিত থাকবে। পাশাপাশি, ৩ হাজার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রাত ৮টার পর বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে, এবং বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের আইডি কার্ড দেখিয়ে প্রবেশ করতে হবে।
হাতিরঝিলে সন্ধ্যার পর কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না, তবে আবাসিক হোটেলে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি থাকবে। এছাড়া, ২১টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হবে এবং ট্রাফিক নির্দেশনা মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে। ডিএমপি জানায়, নিরাপত্তার স্বার্থে রাজধানীজুড়ে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি আরও দৃঢ় করা হয়েছে, যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে।