চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে সাত শ্রমিক খুনের ঘটনায় প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন ও বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়েছে। কর্মবিরতিটি গত ২৬ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছিল।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “সাত খুনের ঘটনায় আমাদের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। এখন থেকে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। কর্মসূচি স্থগিতের কারণ ও বিস্তারিত পরে জানানো হবে।”
গত ২৩ ডিসেম্বর বিকেলে চাঁদপুরের হাইমচরের মেঘনা নদী থেকে পণ্যবাহী কার্গো জাহাজ এমভি আল-বাখেরার আট কর্মীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে সাতজন নিহত এবং একজনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ।
ঘটনার পরদিন নৌপুলিশের হরিণা ফেরিঘাট ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. কালাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হাইমচর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে র্যাব-১১ কুমিল্লার অধিনায়ক মেজর সাকিব হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ২৫ ডিসেম্বর বাগেরহাটের চিতলমারী থেকে আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইরফান ওই জাহাজের খালাসি এবং বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার জগদীশ মণ্ডলের ছেলে।
গ্রেপ্তারের পর ইরফানকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের কাজ চলছে।
জাহাজে সাত খুনের ঘটনা নিয়ে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি, নৌযান শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নদীতে নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরির দাবিতে শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন।
এ ঘটনার পর নৌপথে পণ্যবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটে। তবে কর্মসূচি স্থগিতের পর নদীপথে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।