কাজাখস্তানে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি রাশিয়ার সারফেস টু এয়ার প্রতিরক্ষা মিসাইলের আঘাতে ভূপাতিত হয়েছে বলে দাবি করেছে আজারবাইজান। দেশটির একটি সূত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে বিমান বিধ্বস্তের কারণ হিসেবে মিসাইলের আঘাতকে চিহ্নিত করেছেন তারা।
বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমের খবরের বলা হয়েছে, ইউক্রেনীয় ড্রোন ঠেকাতে মোতায়েন করা হয়েছিল ওই ক্ষেপণাস্ত্র। যদিও এখনও এ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি বাকু। এমনকি রাশিয়াও বলছে, চূড়ান্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত বিমান দুর্ঘটনা ইস্যুতে কোনো সিদ্ধান্তে আসা অনুচিত হবে। যদিও ইউক্রেনের লাগাতার ড্রোন হামলার কারণে ওই এলাকায় বেশ সক্রিয় মস্কোর এয়ার ডিফেন্স। দেশটির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশ্লেষকরাও।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক চার্লস এ কাপচান বলেছেন, বলা হচ্ছে পাখির ঝাঁকের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে। আবার বলা হচ্ছে, বিমানটি গতিপথ পরিবর্তন করায় রাশিয়া বুঝতে পারেনি এটি কীসের বিমান ছিল। এটি এমন একটি এলাকা যেখান থেকে ইউক্রেন ড্রোন হামলা চালায়। তাই বিমানটিতে এন্টি এয়ারক্রাফট মিসাইল ছোঁড়া হয়েছে। তবে কোনো তত্ত্বেরই পরিস্কার তথ্য নেই আমাদের কাছে।
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক অ্যান মেরি ডেইলে বলেন, বিমানের পেছনের অংশে ক্ষয়ক্ষতির ধরণ দেখে মনে হচ্ছে এটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে হয়েছে। মনে হচ্ছে, এটি ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য মিসাইল দিয়ে ভূপাতিত করা হয়েছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়ার পানসির-এস প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ভূপাতিত করা হয় ব্রাজিলে তৈরি এমব্রেয়ার ওয়ান নাইনটি বিমান। ইচ্ছাকৃতভাবে এটি ভূপাতিত করা হয়নি। অদক্ষ রুশ সেনারা এমনটা ঘটাতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যদিও, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সিদ্ধান্তে না যাওয়ার আহ্বান মস্কোর। এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি আজারবাইজানও।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, তদন্ত চলছে। বিমান দুর্ঘটনার যেকোনো তদন্ত স্পেশাল এভিয়েশন অথিরিটি দ্বারা হওয়া উচিৎ। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনুমানের ভিত্তিতে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ নয়।
প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনার পর বিমানের দ্বিতীয় ব্লাক বক্সটিও উদ্ধার করা হয়েছে। ব্রাজিল থেকেও একটি প্রতিনিধি দল দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের অনুসন্ধান চালাচ্ছে।