শ্রম আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে দণ্ডের পরিমাণ বৃদ্ধিসহ ১১ দফা প্রস্তাব করেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডাইফ)।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর শ্রম ভবনে শ্রম সংস্কার কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।
সভায় শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস)-এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শ্রম সংস্কার কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। ‘সবার জন্য নিরাপদ কাজ’ নিশ্চিত করতে ডাইফ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’
‘শ্রম খাত উন্নয়নে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সমন্বয় সাধন অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে ডাইফের মহাপরিদর্শক ওমর মো. ইমরুল মহসিন বলেন, কল্যাণময় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় শ্রম খাতের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বাস্তবায়ন অপরিহার্য।
সভায় ডাইফের পক্ষ থেকে উপস্থাপিত ১১ দফা প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের সকল শ্রমিকের জন্য শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা, কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ বৃদ্ধি, সারা দেশে ৬৪টি জেলায় অফিস স্থাপন এবং শ্রমঘন এলাকায় একাধিক উপমহাপরিদর্শকের কার্যালয় স্থাপন, শ্রম অসন্তোষ নিরসনে শ্রম বিষয়ক ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি গঠন, শ্রমিকদের মজুরি মাসের ৭ দিনের মধ্যে পরিশোধ নিশ্চিত করে এরিয়া ইন্সপেক্টরকে নোটিফাই করা, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির শাস্তি নিশ্চিত করা, শ্রম পরিদর্শক কর্তৃক শ্রম আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ‘প্রশাসনিক জরিমানা/স্পট ফাইন’ আরোপের বিধান করা, পরিদর্শক প্রয়োজনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা গ্রহণ করার বিধান করা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. মাহফুজুল হক, ড. জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট এ কে এম নাসিম, চৌধুরী আশিকুল আলম, সাকিল আখতার চৌধুরী, তাসলিমা আখতার, ডাইফের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক আরিফ আহমেদ খান, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সভাপতি রাশেদুল আলম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের মহাসচিব ফারুক আহমেদ, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, বিজিএমইএর সদস্য এ এন এম সাইফ উদ্দিন প্রমুখ।