spot_img

বিপদে মৃত্যু কামনা করা কি জায়েজ?

অবশ্যই পরুন

ক্ষণস্থায়ী পৃথিবী মুমিনের জন্য পরীক্ষার হলের মতো। পরকালে সফল হতে অবশ্যই এই পরীক্ষায় সফলকাম হতে হবে। এরপরই মিলবে কাঙ্ক্ষিত জান্নাত। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘জমিনের ওপর যা কিছু আছে আমি সেগুলোর শোভাবর্ধন করেছি, যাতে আমি মানুষকে পরীক্ষা করতে পারি যে, আমলের ক্ষেত্রে কারা উত্তম।’ (সুরা কাহাফ, আয়াত: ৭)

অপর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং কেয়ামতের দিন তাদের পূর্ণমাত্রায় বিনিময় দেয়া হবে। যে ব্যক্তিকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করা হলো এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হলো, অবশ্যই সে ব্যক্তি সফলকাম হলো, কেননা পার্থিব জীবন ছলনার বস্তু ছাড়া আর কিছুই নয়। (সুরা ইমরান, আয়াত: ১৮৫)

তবে বিপদ-আপদ কখন আসবে তা কেউ জানে না। সেই মুহূর্তে ধৈর্য ধারণের পাশাপাশি মহান রবের নিকট সাহায্য চাওয়া প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য। এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, ধৈর্য ধারণের ক্ষেত্রে বিপদের প্রথম মুহূর্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে ধৈর্য ধারণকারীরাই সফলকাম হতে পারেন। হাদিসে এসেছে, আনাস ইবনু মালিক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, প্রকৃত ধৈর্য ধারণ করা হলো বিপদ-আপদের প্রথম মুহূর্তে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২০১১)

অন্যদিকে, ধৈর্যশীলদের সঙ্গে থাকার ওয়াদা স্বয়ং আল্লাহ তা’য়ালার। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন।’ (সূরা বাকারা, আয়াত: ১৫৩)

তবে অনেক সময় বিপদ-আপদে পড়ে অনেককে নিজের মৃত্যু কামনা করতে দেখা যায়। যদিও হাদিসে এ বিষয়ে নিষেধ করা হয়েছে। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ কোনো বিপদের কারণে মৃত্যু কামনা করবে না। আর যদি কেউ এমন অবস্থায় পতিত হয় যে, তাকে মৃত্যু কামনা করতেই হয় তবে সে (মৃত্যু কামনা না করে) দোয়া করবে, হে আল্লাহ! যতদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকা আমার জন্য মঙ্গলজনক হয় ততদিন আমাকে জীবিত রাখুন, আর যখন আমার জন্য মৃত্যু মঙ্গলজনক হয় তখন আমার মৃত্যু দিন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৯১১)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত অপর হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ মৃত্যু কামনা করবে না। কেননা, সে (মৃত্যু কামনাকারী) যদি সৎকর্মশীল হয় তবে (বেঁচে থাকলে) হয়তো সে সৎকর্ম করবে। কিংবা সে পাপাচারী হবে, হয়ত সে অনুতপ্ত হয়ে তওবা করবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৭৪১)

সর্বশেষ সংবাদ

আবারও আসছে ‘সুপারম্যান’

এই বছর অর্থাৎ ২০২৪ যখন বিদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে তখনি বিশ্বজুড়ে সিনেমাপ্রেমীদের চোখ ২০২৫ এ। হলিউডপ্রেমীদের জন্য নতুন বছরে আসছে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ