রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও বহির্গমন রোধ, সীমান্তবর্তী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা বিধান, শিল্প কারখানায় নিরাপত্তা প্রদানসহ সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবির ভূমিকা প্রশংসনীয়।
আজ শুক্রবার ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস’। এ উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটিতে তিনিবর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) কর্মরত সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ বিজিবির রয়েছে বীরত্ব, ঐতিহ্য ও গৌরবমণ্ডিত সমৃদ্ধ ইতিহাস। মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর রয়েছে অবিস্মরণীয় অবদান। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে হানাদার বাহিনী ঢাকার পিলখানাস্থ তৎকালীন ইপিআর সদর দফতরে আক্রমণ করে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ এবং বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফসহ এ বাহিনীর ৮১৭ জন অকুতোভয় সদস্য আত্মোৎসর্গ করে দেশপ্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, সীমান্তের সার্বিক সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষায় বিজিবির সদস্যরা সততা, নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান রোধ, মাদক ও মানব পাচার প্রতিরোধসহ দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি ও দুর্যোগ মোকাবিলায় এ বাহিনীর দক্ষতা এবং পেশাদারিত্ব জনআস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখতে বিজিবির সদস্যরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সর্বক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা বজায় রেখে পেশাদারিত্বের সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।