বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে জুলাই বিপ্লবে পতন ঘটেছে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের। এরপর সেই সংগঠনের অনেকে যোগ দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটিতে। আছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও। তবে এই দুই সংগঠনের পরিচিত মুখদের নিয়ে খুব দ্রুতই আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে একটি রাজনৈতিক দল।
সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন। তিনি জানান, গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্খা পূরণে রাজনীতির মাঠে নামছেন তরুণরা। নেতৃত্বে আসতে পারে নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধীদের পরিচিত মুখরাই।
আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যেই তরুণদের রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে জানিয়ে সামান্তা শারমিন বলেন, রাজনীতিতে নতুন মুখ আনা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
তবে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং পরে গঠিত নাগরিক কমিটি বিলুপ্ত করার পরিকল্পনা নেই শিক্ষার্থীদের। সামান্তা শারমিন আরও বলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি থাকবে এবং সেই সাথে রাজনৈতিনক দলও থাকবে। আমরা মনে করি অসংখ্য নতুন রাজনৈতিক দল হওয়া উচিত। তরুণদের নেতৃত্বে আসা উচিত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, কেউ যদি নাগরিক কমিটি থেকে রাজনৈতিক দলে চলে যেতে চায়, এখান থেকে তাদের পদত্যাগ করে চলে যেতে হবে। আর যারা থাকবেন তারা বিপ্লবের প্রতীক হিসেবে ধারণ করবে বা একতার জায়গা হিসেবে ধারণ করবে।