সিরিয়ার বিদ্রোহীরা কয়েক দিন আগে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করেছেন। তারপরও দেশটির উত্তরাঞ্চলে তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তাপুষ্ট বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ থেমে নেই। এমন পরিস্তিতিতে সিরিয়ায় জাতিসংঘের বিশেষ দূত গিয়ার পেডারসেন সতর্ক করে বলেছেন, বিদ্রোহী যোদ্ধারা বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করলেও সিরিয়ার যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। যদিও পরে এই দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। খবর আলজাজিরার।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গিয়ার পেডারসেন বলেন, একটি যুদ্ধবিরতি সম্পাদিত হওয়ার আগে গত দুই সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য লড়াই দেখা গেছে। সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি ধ্বংসাত্মক হতে পারে।
বাশার আল-আসাদের পতনের পর থেকে তুরস্কের সহায়তাপুষ্ট বিদ্রোহীদের জোট সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এসএনএ) এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তাপুষ্ট সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) নিজেদের মধ্যে লড়াই করে আসছিল। তাদের এই সংঘর্ষের মধ্যে এই মন্তব্য করলেন জাতিসংঘের দূত।
১৩ বছর ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র একাধিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও জোটকে সহায়তা দিয়ে আসছে। এসডিএফ এসব জোটের মধ্যে অন্যতম। এদের সঙ্গে যৌথভাবে সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিরোধী লড়াই পরিচালনা করছে দেশটি। এসডিএফের মধ্যে ওয়াইপিজি সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী। তুরস্ক ওয়াইপিজি-কে নিজ দেশে ৪০ বছর ধরে তৎপর কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) শাখা মনে করে। তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ে সশস্ত্র রাজনৈতিক দলটিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মনে করে।
গত সপ্তাহে এসএনএ যোদ্ধারা এসডিএফ-এর কাছ থেকে উত্তরের শহর মানবিজ দখল করে নেয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হলে এসডিএফ ইউফ্রেটিস নদীর পূর্ব দিকে সরে যায়।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পেডারসেনের বক্তব্যের পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানান, উত্তর সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ এই সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।