দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ২৪০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়ে পাকিস্তান। বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানের মতো ব্যাটারদের দ্রুত বিদায়ের পর ৬০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল দলটি। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে প্রতিরোধের দুর্গ গড়েন সাইম আইয়ুব এবং সালমান আঘা।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্ব) পার্লের বোলিং সহায়ক উইকেটে সাইম এবং সালমান গড়েন ১২১ রানের জুটি। এই জুটি প্রোটিয়াদের হাত থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নেয়। সাইম তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন। তিনি ১০৯ রান করে আউট হলে পাকিস্তানের জয় থেকে বাকি থাকে মাত্র ৩৯ রান। কিন্তু এর মধ্যেই কাগিসো রাবাদা ও তাবরাইজ শামসির নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পাকিস্তান ৮ রানের ব্যবধানে আরও ২ উইকেট হারায়।
শেষদিকে সালমান আঘা দারুণ দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন। অষ্টম উইকেটে নাসিম শাহকে নিয়ে ৩৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে তিনি দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। সালমান ৯০ বলে ২ ছক্কা ও ৪ চারে অপরাজিত ৮২ রান করেন। বল হাতেও তার পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ। তিনি ৪ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার টনি ডি জর্জি এবং রায়ান রিকেল্টনের দারুণ শুরুতে প্রাথমিকভাবে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। পাওয়ারপ্লেতে তারা তোলে ৭০ রান। তবে এরপর পাকিস্তানের দুই স্পিনার সালমান আঘা এবং আবরার আহমেদের ঘূর্ণিতে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা।
দশম ওভারে দলীয় ৭০ রানে টনি ডি জর্জিকে আউট করে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন সালমান। এরপর মাত্র ১৮ রানের ব্যবধানে প্রোটিয়ারা হারায় আরও ৪ উইকেট। প্রথম ৩ উইকেটই নেন সালমান।
হেনরিখ ক্লাসেন এবং অ্যাইডেন মার্করামের ৭৩ রানের জুটি প্রোটিয়াদের আবারও লড়াইয়ে ফেরায়। তবে দলীয় ১৬১ রানে সাইম আইয়ুবের বলে মার্করাম আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর ক্লাসেন ও মার্কো জেনসেনের মধ্যে আরও একটি ৫০ রানের জুটি গড়ে ওঠে।
তবে শেষ দিকে ২১১ রানে জেনসেন আউট হওয়ার পর আবারও বিপর্যয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্লাসেন ৯৭ বলে ৮৬ রান করলেও শেষ দিকে বড় শট খেলতে ব্যর্থ হন। ফলে শেষ ১০ ওভারে মাত্র ৩৯ রান যোগ করতে পারে প্রোটিয়ারা।
পাকিস্তানের হয়ে সালমান আঘা ৪টি, আবরার আহমেদ ২টি এবং সাইম আইয়ুব ও শাহিন আফ্রিদি একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এ জয়ের ফলে তিন ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান সিরিজের ১-০ তে এগিয়ে গেল। কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর)।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৩৯ (৪৯.৫ ওভার), হেনরিখ ক্লাসেন: ৮৬ (৯৭), অ্যাইডেন মার্করাম: ৪৫ (৫৩), সালমান আঘা: ৪/৩৮।
পাকিস্তান: ২৪১/৭ (৪৯.৩ ওভার), সাইম আইয়ুব: ১০৯ (১০২), সালমান আঘা: ৮২* (৯০), কাগিসো রাবাদা: ২/৪৩।