spot_img

বিদেশে চিকিৎসায় বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার হারাচ্ছে বাংলাদেশ : গভর্নর

অবশ্যই পরুন

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, বিদেশে চিকিৎসায় প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার চলে যায়। কিন্তু তারা সেই টাকা কোথায় খরচ করে আমরা জানি না।

তিনি বলেন, অনেকে ট্যুরিস্ট ভিসায় বিদেশে গিয়ে ডাক্তার দেখায়। স্বাস্থ্য খাতে তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে অনেক কিছু করার আছে। আমরা গবেষণা করতে পারছি না। কারণ বিগ ডেটা আমাদের কাছে নেই। যদি থাকত তাহলে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে আমরা বুঝতে পারতাম যে কোনটি বেশি কার্যকর।

আজ রোববার পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ক্রস বর্ডার ডাটা ফ্লো: বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, পৃথিবীর সব দেশে এখন খনির চাইতে ডেটাকে মাইনিং করে যে খনি হয় সেটার দাম অনেক বেশি। কয়লা খনি বা তেল খনি থেকেও ডেটা খনি অনেক বড়। বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষ আছে। এখানে অনেক ডাটা ক্রিয়েট হচ্ছে। আমাদের মোবাইল সিস্টেম থেকে হচ্ছে, আমাদের ক্ষুদ্র-মাঝারি খাত থেকে হচ্ছে, ট্যুরিজম সেক্টর থেকে হচ্ছে। কিন্তু সেটা ব্যবহার করা হচ্ছে না। ফলে এর কোনো ভ্যালু আমরা পাচ্ছি না।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমি মনে করি ডাটাবেজ, ডাটা মাইনিং, ডাটা স্টোরেজসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে যদি আমরা উন্নতি করতে পারি, তাহলে অনেক বেশি উন্নতি করতে পারব। এর জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আইনি কাঠামো তৈরি এবং আচরণগত পরিবর্তন করতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে তথ্য আদান-প্রদান হয় না বললেই চলে। অনেকটা সাইলোর মতো। যার যার তথ্য তার তার কাছেই থাকে। এমনকি নিজেদের মধ্যেও তথ্য আদান-প্রদান করা হয় না।

গভর্নর আরো বলেন, ব্যাংকিং তথ্যের ক্ষেত্রেও সরকারিভাবে বলা হয় যে তিনটি ফ্যাসিলিটি রাখা; ডাটা সেন্টার, রিকভারি সেন্টার, ডিসাস্টার রিকভারি সেন্টার- যা ব্যাংকের পক্ষে ম্যানেজ করা অর্থাৎ তথ্য নিরাপত্তা, সাইবার নিরাপত্তা অনেক কঠিন। এই জায়গাতে আমরা সম্মিলিতভাবে আইনগতভাবে কাজ করতে পারি। বিশেষ করে ছোট এবং মাঝারি আকারের ব্যাংকগুলোর যদি একসাথে কাজ করে।

তিনি বলেন, আমাদের ডেটা স্টোরেজের কোনো পলিসি নাই। বাংলাদেশে এখনো ডমেস্টিক ক্লাইউড সার্ভিসগুলো সেভাবে ডেভেলপ করেনি। এটা না করলে আমরা তথ্যগুলো সংরক্ষণ করতে পারব না। সেটা মেডিক্যাল হোক, ট্যুরিজম হোক বা ফাইন্যান্সিয়াল হোক।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমাদের আইনগতভাবে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারকে কাজ করতে হবে। যদি স্থানীয়করণ পলিসিগুলো আমরা ঠিকমতো অ্যাডজাস্ট না করি, তাহলে কিন্তু তথ্যের ব্যবহারটা হবে না।

কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পিআরআই গবেষণা পরিচালক বজলুল হক খন্দকার, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের ডেপুটি ডিরেক্টর মহিবুল ইসলাম, ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো: সাব্বির হোসেন প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ

ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের ভেন্যু জটিলতার যে সমাধান দিলেন শেহজাদ

রাজনৈতিক বৈরিতার জের ধরে লম্বা সময় ধরেই দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলে ভারত-পাকিস্তান। দুই দেশের দেখাই হয় শুধুমাত্র এসিসি এবং আইসিসি...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ