এম পক্সের পর এবার আফ্রিকা কাঁপাচ্ছে ব্লিডিং আই ভাইরাস বা মারবার্গ ভাইরাস। এনিয়ে জরুরি সতর্কতা জারি করা হয়েছে ব্রিটেন ও আফ্রিকার ১৭ দেশে। ১৯৬৭ সালে জার্মানির মারবার্গ শহরে প্রথমে এই ভাইরাসের দেখা মেলে। তারপর থেকে মাঝেমধ্যেই এই ভাইরাস মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মারবার্গ ভাইরাস। আফ্রিকা, তানজানিয়া, ঘানা ও এখন রুয়ান্ডায় এই ভাইরাসের দেখা মিলছে।
রুয়ান্ডায় এই ভাইরাসের আক্রমণে ইতিমধ্যেই রোয়ান্ডায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত বহু মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘোষণা অনুযায়ী মারবার্গ ভাইরাসের আক্রমণে মানুষ মারাও যেতে পারে। এক্ষেত্রে মৃত্যুর হার ৫০ শতাংশ। তবে দেখা গিয়েছে এই ভাইরাসের মারণ ক্ষমতা ২৮-৮০ শতাংশ পর্যন্ত যেতে পারে।
মারবার্গ ভাইরাসের লক্ষণ
সাধারণভাবে এই ভাইরাসের সংক্রমণের ২-২১ দিন পরে এর লক্ষণ প্রকাশ পায়। প্রথমদিকে প্রবল জ্বর, মাথার যন্ত্রণা, পেশীতে ব্যথা হয়। ধীরে ধীরে ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, পেশীতে টান, বমির মতো উপসর্গ প্রকাশ পায়।
সংক্রমণ প্রকাশ পাওয়ার পাঁচ দিন পরে ইন্টারন্যাল হ্যামারেজের লক্ষণ প্রকাশ পায়। এর মধ্যে রক্তবমি হতে পারে, নাক, কান, চোখ, মুখ, মাড়ি থেকে রক্ত পড়তে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অন্ডকোষ ফুলেও যেতে পারে। লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে মৃত্যু পর্য়ন্ত হতে পারে।
কিভাবে ভাইরাস ছড়ায়
সংক্রমিত ব্যক্তির কাছ থেকে সরাসরি ফ্লুইডের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়াতে পারে। রোগীর বিছানা বা জামা কাপড় থেকেও অন্য কেউ সংক্রমিত হতে পারে।
চিকিত্সা
আরটিপিসিআর টেস্ট, আইসোলেশনের মাধ্যমে রোগী চিহ্নিতকরণ ও চিকিত্সা হতে পারে। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনো টিকা বের হয়নি। ফলে সিম্পটোমেটিক চিকিত্সাই ভরসা।
সূত্র : জি নিউজ