দেশের প্রাথমিক শিক্ষায় উন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষক পদোন্নতির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষা সবচেয়ে অবহেলিত একটি খাত। অথচ এটি সমাজে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাওয়া উচিত।
গতকাল বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায়ের সাথে দেখা করার পর রাতে ফেসবুক পোস্টে এমনটা লেখেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেন, বেতন কাঠামো এবং সামাজিক স্বীকৃতির দিক থেকে পিছিয়ে থাকা প্রাথমিক শিক্ষা, দেশের সামগ্রিক শিক্ষা উন্নয়নের মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত না করা গেলে উচ্চশিক্ষায় গুণগত মান অর্জন করা সম্ভব নয়।
‘এই বাস্তবতায়, প্রাথমিক শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান বেতন কাঠামোর পরিবর্তন, মেধার ভিত্তিতে পদোন্নতি এবং অন্যান্য দাবির বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন।’
বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায়ের কাছে এসব দাবি উপস্থাপন করেন বলেও জানান তিনি।
হাসনাত লেখেন, উপদেষ্টা তাকে আশ্বাস দিয়েছেন যে প্রাথমিক শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিত করা হবে। সহকারী শিক্ষক থেকে সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং সর্বশেষ প্রধান শিক্ষক হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। এই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
এরপর একজন শিক্ষকের মেসেজ উল্লেখ করে রাতে আরেকটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। তারা না পারে কিছু বলতে, না পারে সইতে। ১৭-১৮ হাজার টাকার সীমিত বেতনে সংসার চালানো প্রায় অসম্ভব। পরিবার, মা-বাবার যত্ন, চিকিৎসা এবং অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে তারা যেন জীবন্ত লাশ হয়ে বেঁচে আছেন।
তিনি আরো লেখেন, প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অবহেলিত রেখে জাতীয় অগ্রগতি সম্ভব নয়।