বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের মংডুতে শেষ জান্তা ঘাঁটি দখল করার সময় কুখ্যাত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন তুনসহ শত শত সৈন্যকে আটক করার কথা জানিয়েছে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)।
বুধবার আরাকান আর্মি এ কথা জানায়। এর আগে গত রোববার ওই ঘাঁটি দখলে নেয় তারা।
ফলে বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমারের ২৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আরাকান আর্মি (এএ)।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি বলেছে, তারা ১৪ অক্টোবর থেকে জান্তার শেষ অবশিষ্ট সীমান্ত ঘাঁটি মংডু শহরের বাইরে অবস্থিত বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন নং ৫-এ আক্রমণ শুরু করে।
সুরক্ষিত ঘাঁটিটি আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ), আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)-এর রোহিঙ্গা মিলিশিয়াসহ সাত শতাধিক পুলিশ অফিসার এবং সৈন্যদের মাধ্যমে পরিচালিত হতো।
ঘাঁটিটি দখল করার কয়েক ঘন্টা আগে ভেতরে আটকে থাকা সৈন্যরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিল। তাতে তারা তাদের সরিয়ে নেয়ার জন্য জান্তা নেতার কাছে আবেদন করেন। ভিডিওতে সরকারি সৈন্যদের বলতে শোনা যায়, তারা তিন মাস ধরে ঘাঁটিতে আটকে আছেন। কিন্তু এরপরও নেতারা তাদের সরিয়ে নেয়ার কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেননি এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন তুন তাদের পরিত্যাগ করেছেন।
২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালেতে শান্তিপূর্ণ অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভের ওপর প্রাণঘাতী ক্র্যাকডাউন চালানোর জন্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন তুন কুখ্যাত। এছাড়া তিনি উত্তর রাখাইনে জান্তার পক্ষে লড়াই করার জন্য রোহিঙ্গাদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দেয়ার অভিযোগেও অভিযুক্ত।
সূত্র : ইরাবদি