spot_img

সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতন ইরানের জন্য ক্ষতি?

অবশ্যই পরুন

টানা ৫৪ বছরের আসাদ পরিবারের ক্ষমতার অবসান ঘটেছে সিরিয়ায়। বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের মধ্যে দিয়ে এই যুগের অবসান ঘটেছে। যদিও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক অধ্যাপক ভ্যালি নাসর এই ঘটনা ইরানের জন্য একটি বড় ক্ষতি বলে উল্লেখ করেছেন।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিশেষজ্ঞ সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আরব বসন্তের সময় আসাদকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ইরান রক্ত ও সম্পদের বিশাল বিনিয়োগ করেছে। এখন আসাদের পতন সেই বিনিয়োগকে একপ্রকার বৃথা করে দিয়েছে।

অধ্যাপক ভ্যালি নাসর বলেন, ইরান প্রভাব হারানোর ফলে সিরিয়ায় একটি নেতৃত্ব শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, যা এখন ইসলামীপন্থী শক্তি দ্বারা পূরণ হচ্ছে। অধ্যাপক নাসর মনে করেন, এই পরিবর্তন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের জন্য ভবিষ্যতে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।

তিনি বলেন, ‘লেভান্ট অঞ্চল—যেমন লেবানন ও সিরিয়া—এখন একেবারে বিপর্যস্ত। সেখানে শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতার অভাব রয়েছে। এই শূন্যতার ফলাফল যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকেও ভোগ করতে হতে পারে।’

এদিকে নাসর উল্লেখ করেছেন, তুরস্ক এখন সিরিয়ার প্রধান শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এখানে ইরান ও রাশিয়ার ভূমিকা আপাতত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় তুরস্ক এই শূন্যতা পূরণ করছে। অধ্যাপক নাসর এসময় আরও বলেন, ‘তুরস্ক সিরিয়ায় ক্ষমতা প্রতিষ্ঠায় সফল হয়েছে। ইরান ও রাশিয়ার প্রভাব এখন কার্যত বিলুপ্ত।’

এদিকে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজেই বাশার আল-আসাদকে রাশিয়ায় আশ্রয় দিয়েছেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।

সর্বশেষ সংবাদ

বিপদে মৃত্যু কামনা করা কি জায়েজ?

ক্ষণস্থায়ী পৃথিবী মুমিনের জন্য পরীক্ষার হলের মতো। পরকালে সফল হতে অবশ্যই এই পরীক্ষায় সফলকাম হতে হবে। এরপরই মিলবে কাঙ্ক্ষিত...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ