spot_img

রাদারফোর্ডের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় খরা কাটালো ওয়েস্ট ইন্ডিজ

অবশ্যই পরুন

বড় পুঁজি নিয়েও পেরে উঠল না বাংলাদেশ। তিন শ’ ছুঁই ছুঁই রান জয়ের জন্য যথেষ্ট করে তুলতে পারেনি তাসকিন-নাহিদ রানারা। দাপট দেখিয়েই জয় তুলে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে তারা।

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে রোববার ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। সেন্ট কিটসে টসে জিতে আগে ব্যাট করে টাইগাররা। নির্ধারিত ওভার শেষে সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৯৪ রান আসে স্কোরবোর্ডে।

জবাবে শুরুতে স্বাগতিকদের খানিকটা চেপে ধরলেও পেরে উঠেনি বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের মিডল অর্ডার ভোগায় মিরাজ বাহিনীকে। ৪৭.৪ ওভারেই নিশ্চিত করে জয়। শতক তুলে নেন শেরফানে রাদারফোর্ড। করেন ৮০ বলে ১১৩ রান।

লক্ষ্য তাড়ায় ২৭ রানে জোড়া উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্রেন্ডন কিংকে (৯) তানজিম সাকিব ও এভিন লুইসকে (১৬) এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন নাহিদ রানা। তবে এরপর শাইহোপ ধরেন হাল। ক্যাসি কার্থির সাথে যোগ করেন ৬৭ রান।

কার্থিকে ২১ রানে ফেরান রিশাদ হোসেন। ২১.৪ ওভারে ৯৪ রানে ৩য় উইকেটের দেখা পায় দল৷ সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটের জন্য টাইগারদের অপেক্ষা করতে হয় ৩৭.১ ওভার পর্যন্ত। মাঝে স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ৯৯ রান।

শাইহোপ আউট হোন ৮৮ বলে ৮৬ রানে। তবে ততক্ষণে জ্বলে উঠেন রাদারফোর্ড। এরপর জাস্টিন গ্রিভসকে সাথে নিয়ে মাত্র ৫৭ বলে যোগ করেন ৯৫ রান! এরপর রাদারফোর্ড ফেরেন বটে, তবে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে শতক।

৪৬.৪ ওভারে সৌম্য সরকারের বলে শেষ হয় তার ৭ চার ৮ ছক্কার ৮০ বলে ১১৩ রানের ইনিংস। তবে ৩১ বলে ৪১ রান নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন গ্রিভস৷ বাংলাদেশের হয়ে তানজিম সাকিব, সৌম্য, মিরাজ, রিশাদ ও নাহিদ নেন একটা করে উইকেট।

এর আগে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশও। ব্যাট হাতে মারকুটে শুরু করেন সৌম্য সরকার। তবে সেটাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। ১৮ বলে ১৯করেই থামতে হয় তাকে। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি লিটন দাস। নতুন ভূমিকায় আউট হয়েছেন ৭ বলে মাত্র ১ রানে।

তবে ব্যতিক্রম তানজিদ তামিম। দারুণ খেলতে থাকেন এই তরুণ। ৪৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর মেহেদী মিরাজকে নিয়ে সামলে নিয়েছেন সব চাপ। উল্টো আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে চাপ বাড়াচ্ছেন ক্যারিবীয়দের উপর।

তানজিদ-মিরাজের জুটিও ৫০ পেরিয়েছে এরই মধ্যে। ম্যাচের নিয়ন্ত্রন আপাতত বাংলাদেশের হাতে। রান ছুঁয়েছে তিন অংকের ঘর। তানজিদ তামিম তুলে নিয়েছেন নিজের তৃতীয় ফিফটি। আত্র ৪৬ বলে ৩ ছক্কা আর ৫ চারে স্পর্শ করে মাইলফলক।

তামিমের ইনিংস অবশ্য এরপর আর বেশিদূর যায়নি। ৬০ বলে ৬০ রান করে আলজারি জোসেফের শিকার তিনি। তাতে ভাঙে মিরাজের সাথে তার ৭৯ রানের জুটি। তবে থামেননি মিরাজ, ৭১ বলে তিনিও তুলে নেন অর্ধশতক।

মিরাজের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের সাথে পাল্লা দেন আফিফ হোসেন। তবে ইনিংস বড় হয়নি তার। ৩৩.৫ ওভারে ৫৪ রানের জুটি ভেঙে ফিরেন ২৯ বলে ২৮ করে। তাতে ১৭৯ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর মাহমুদউল্লাহ আসেন মাঠে। তবে জুটি জমেনি, মিরাজ ফিরেন সিলশের বলে; ১০১ বলে ৭৪ রানে। এরপর যেন দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন জাকের আলি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দু’জনের জুটিতে আসে ৭৪ বলে ৯৬ রান।

মাহমুদউল্লাহ প্রথমে দেখেশুনে খেললেও শেষ পর্যন্ত ফিফটি তুলে নেন ৪৩ বলে। শেষ পর্যন্ত ৪৪ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ফিফটির কাছে গিয়ে ফেরেন জাকের, এক বল থাকতে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আউট হন ৪০ বলে ৪৮ করে।

তিনটি উইকেট নেন রোমারিও শেফার্ড। জোড়া উইকেট নেন আলজারি জোসেফ।

উল্লেখ্য, মুখোমুখি দেখায় শেষ ১১ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সাথে পেরে উঠেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হেরেছে সবগুলো ম্যাচেই। অবশেষে তারা ভাঙলো সেই বৃত্ত। সেই সাথে এগিয়ে গেল তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০-এ। পরের দু’ম্যাচ ১০ ও ১২ ডিসেম্বর।

সর্বশেষ সংবাদ

বিপদে মৃত্যু কামনা করা কি জায়েজ?

ক্ষণস্থায়ী পৃথিবী মুমিনের জন্য পরীক্ষার হলের মতো। পরকালে সফল হতে অবশ্যই এই পরীক্ষায় সফলকাম হতে হবে। এরপরই মিলবে কাঙ্ক্ষিত...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ