spot_img

আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সকল দল নিয়ে সরকার গঠন করতে চাই : তারেক রহমান

অবশ্যই পরুন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমরা যারা একসাথে (ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে) আন্দোলন করেছি। আমরা চাই, সকলে মিলে এমন একটা সরকার গঠন করতে সেখানে সব মানুষ তাদের মতামত রাখতে পারেন। সকলে মিলে কাজ করতে পারি।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা আন্দোলন করেছে, তবে একক বিএনপির আন্দোলন সফল হয়নি। আরো অনেকগুলো রাজনৈতিকত দল এবং সমাজের প্রতিটি পেশার মানুষ একসাথে নেমে এসেছিল বলেই স্বৈরাচার সরকার দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছে।’

রোববার ( ৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপির ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির আয়োজনে এ সময় প্রধান প্রশিক্ষক ছিলেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহবায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল। রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, শারমীন টুটুল প্রমুখ।

আগামী দিনের রাষ্ট্র পরিচালনায় আন্দোলনকারী সব দলের যেন অংশগ্রহণ থাকে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা যারা একসাথে আন্দোলন করেছি। আমরা চাই সকলে মিলে এমন একটা সরকার গঠন করতে সেখানে সব মানুষ তাদের মতামত রাখতে পারেন। সকলে মিলে কাজ করতে পারি। আমরা সেজন্যই বলেছি, উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের কথা। যারা সরাসরি রাজনীতিতে জড়ি নন, কিন্তু তারা দেশের জন্য কাজ করতে চান। রাষ্ট্র পুনগঠনে যুক্ত হতে চান। এর মধ্যে হতে পারে সাংবাদিক, হতে পারে চিকিৎসক, হতে পারে আইনজীবী, হতে পারে কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, ব্যবসায়ী বিভিন্ন পেশার লেঅক। তাদের প্রতিনিধিত্বের জন্য আমরা বলেছি, উচ্চ কক্ষ। যারা সেখানে যুক্ত হয়ে রাষ্ট্র বিনির্মাণে কাজ করতে পারবেন।’

২৪ এর আন্দোলন প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ‘আামরা আন্দোলন করেছি। বিএনপি আন্দোলন করেছে। তবে বিএনপির একক আন্দোলন সফল হয় নি। আন্দোলন সফল হয়েছে, যখন আরও অনেকগুলো রাজনৈতিক দল এবং সমাজের সকল প্রতিটি পেশার মানুষ একসাথে নেমে এসেছিল বলেই আমরা এই আন্দোলনে সফল হয়েছি।

তারেক রহমান বলেন, ‘দেশে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক দল হিসেবে বড় দল বিএনপি। বিএনপির প্রতি মানুষের আস্থাও তাই বেশি। এই আস্থা আর সম্ভাবনাকে তখন আমরা সফল করতে পারবো যখন সকলকে ঐক্যমতে আনতে পারবো। বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মতামত থাকবে। আমাদের এই ৩১ দফা শেষ না, বা পরিবর্তন করা যাবে না, এমনটা নয়। অবশ্যই এটাতে পরিবর্তন করা যাবে। কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন বা দল যদি ভালো সাজেশন দেয়। সেটা আমরা সংযোজন করবো। সব কিছুই করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে। সবাইকে সাথে নিয়ে করতে হবে। সেজন্য আমরা জাতীয় সরকারের কথা বলেছি।

এর আগে তারেক রহমান সরাসরি প্রশ্নের উত্তর দেন।

প্রশ্নোন্তর পর্বে তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রতি গ্রামে অন্তত তিনজন করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পল্লী চিকিৎসক নিয়োগ করা হব, যার ৭০ শতাংশই হবে নারী।’

তারেক রহমান বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে আহত-নিহতদের পরিবার এবং গত ১৬ বছরে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের যেসব নেতাকর্মী খুন, গুমের শিকার হয়েছে তাদের জন্য বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রীয়ভাবে সহযোগিতা করা হবে। এখন আমরা বিএনপি পরিবার সংগঠনের ব্যানারে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি।

দিনব্যাপী কর্মশালায় অংশ নেন রংপুর মহানগরসহ বিভাগের আট জেলা, সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডের নেতারা। প্রশিক্ষণ গ্রহণার্থীরা বলেন, ৩১ দফা আয়ত্তে নিতেই তাদের অংশগ্রহণ। জনগণের মাঝে এ দফা পৌঁছে দিয়ে ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চান তারা। কর্মশালায় প্রধান প্রশিক্ষক ছিলেন বিএনপির মিডিয়া সেলের প্রধান ডা: মওদুদ আলমগীর পাভেল। তুলে ধরেন জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া এবং গৃহবধূ খালেদা জিয়ার বলিষ্ঠ ভূমিকার কথা। বলেন, জাতীয় সরকারই পারে একমাত্র বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি দিতে। যার সব কিছুই আছে বিএনপির ৩১ দফায়।

 

সর্বশেষ সংবাদ

ভারত-পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচের তারিখ ও ভেন্যু প্রকাশ

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শেষ পর্যন্ত হতে যাচ্ছে হাইব্রিড মডেলে। যদিও এখনো চূড়ান্ত সূচি প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে ক্রিকেটভক্তরা। যদিও তার...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ