গাজায় ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টায় নতুন উদ্যমের আশা প্রকাশ করেছে কাতার।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, শনিবার গাজায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছেন।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা সিটি এবং রাফাহতে সংঘটিত হামলার খবরে ওপর তাৎক্ষণিক মন্তব্য করেনি। সেখানকার বাসিন্দা এবং চিকিৎসকদের মতে, নিহতদের মধ্যে অন্তত আটজন বেসামরিক নাগরিক। নিহতদের বাকি অংশ যোদ্ধা কিনা তা স্পষ্ট করা যায়নি এবং বার্তাসংস্থা রয়টার্স স্বাধীনভাবে পরিসংখ্যান যাচাই করতে পারেনি বলে জানিয়েছে।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রাহমান আল সানি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের পরে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় নতুন উদ্যম অনুভব করার পর কাতার আসন্ন ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে গাজা প্রসঙ্গে আলোচনায় যুক্ত হয়।
সংলাপের বিষয়ে একটি সূত্র বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে বলেছে, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক রাষ্ট্রদূত ২০ জানুয়ারি তার শপথ গ্রহণের আগে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী মুক্তি চুক্তির জন্য ট্রাম্পের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সূচনা করতে কাতার এবং ইসরাইল সফর করেছেন।
গাজায় ১৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ছিটমহলের বেশিভাগ অংশই নষ্ট হয়ে গেছে এবং ৪৪ হাজার জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরাইলি বাহিনী হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে এবং তাদের হাতে আটক পণবন্দীদের উদ্ধার করার জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ইসরাইলি-ফিলিস্তিনি যুদ্ধ শুরু হয় যখন ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলে হামলা করে এক হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে এবং গাজায় ২৫০ জনের বেশি মানুষকে বন্দী করে।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, শনিবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে একটি সীমান্ত চৌকিতে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে একজন ফিলিস্তিনি ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে, লোকটি সেখানে উপস্থিত বাহিনীকে লক্ষ্য করে আতশবাজি নিক্ষেপ করলে একজন নিরাপত্তা প্রহরী তাকে গুলি করে এবং ব্যক্তিটির কাছে একটি ছুরি পাওয়া যায়।
সূত্র : ভিওএ