সিরিয়ায় প্রায় ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে রাজত্ব করেছে আল আসাদ পরিবার। রোববার (৮ ডিসেম্বর) সশস্ত্র বিদ্রোহীরা নিয়ন্ত্রণ নেয় দামেস্ক শহরে। বিমানে করে দামেস্ক ছেড়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাবা হাফেজ আল-আসাদের কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে ক্ষমতা পেয়েছিলেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। হাফেজ আল-আসাদ ১৯৭১ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সিরিয়া শাসন করেছিলেন। এরপর তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
এরপর ২০০০ সালের জুলাইয়ে প্রাক্তন মেডিকেল ছাত্র বাশার আল আসাদ বাথ পার্টির নেতা হিসেবে প্রেসিডেন্ট হন। সেই সাথে, সামরিক বাহিনীর কমান্ডারও হন তিনি।
এগারো বছর পর, যখন সিরিয়ানরা গণতন্ত্রের দাবিতে রাস্তায় নেমেছিল, তখন আল-আসাদ প্রচণ্ড ক্র্যাকডাউন দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়। প্রতিরোধ গড়তে আরও বেশি সিরিয়ানরা বিক্ষোভে যোগ দেন। যারাই সেই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলো, তাদেরকেই “সন্ত্রাসী” হিসাবে লেবেল করতেন বাশার। ফলে পরিস্থিতি গৃহযুদ্ধের দিকে ধাবিত হয়।
পরবর্তী বছরগুলিতে কয়েক হাজার সিরিয়ান নিহত হয় এবং আল আসাদ বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে অভিযুক্ত হন।
যুদ্ধের ছায়ায়, তিনি সরকার-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলিতে নির্বাচন করেছিলেন যেটিকে অনেকে অগণতান্ত্রিক বলে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। যুদ্ধে কখনো জয়ী না হওয়া সত্ত্বেও, আল-আসাদ সংখ্যালঘু আলাউইট রাজনৈতিক দলসহ তার অনুসারীদের সমর্থনে ক্ষমতাকে সংকীর্ণভাবে আঁকড়ে ধরেছিলেন। সব মিলিয়ে অবশেষে বিদ্রোহীদের তোপের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে পালালেন বাশার আল আসাদ।