বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘লেবাননে ইসরাইল-হিজবুল্লাহর ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি জারি আছে। তবে যুদ্ধরত পক্ষগুলো সাম্প্রতিক দিনগুলোতে পর্যায়ক্রমে একে অপরকে লক্ষ্য করে হামলা অব্যাহত রেখেছে।’
ব্রাসেলসে ন্যাটোর বৈঠকের অবকাশে ব্লিংকেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি বহাল রয়েছে এবং আমরা কথিত লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়ার সময় যে প্রক্রিয়াটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেটি ব্যবহার করছি।’
ইসরাইল ও হিজবুল্লাহ উভয়ই ১৪ মাসের লড়াইয়ের অবসানের লক্ষ্যে এক সপ্তাহ আগে করা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য একে অপরকে অভিযুক্ত করেছে। ওই লড়াইয়ে লেবাননে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং ইসরাইল-লেবানন সীমান্তের উভয় পাশের বিশাল সংখ্যক বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
ফ্রান্স, জাতিসঙ্ঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী, ইসরাইল, লেবানন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সভাপতিত্বে একটি কমিটিকে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ বজায় রাখা এবং যেকোনো উত্তেজনা এড়াতে লঙ্ঘন চিহ্নিত করা এবং মোকাবিলা করা নিশিচত করতে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
ব্লিংকেন বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি কার্যকরভাবে পর্যবেক্ষণ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে আমরা ফ্রান্সের সাথে যে প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করেছি তা কাজ করছে এবং আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, এটি কাজ করা অব্যাহত রাখবে।’
‘যদি এ নিয়ে উদ্বেগ থাকে যে এক পক্ষ বা অন্য পক্ষ যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে, এটি যদি আমাদের নজরে আসে তা হলে আমরা কোনো না কোনো উপায়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সাথে যোগাযোগ করি। ঠিক সেটাই হয়েছে।’
যুদ্ধবিরতির শর্তানুযায়ী, লেবাননের সেনা ও জাতিসঙ্ঘের শান্তিরক্ষীরা একটি বাফার জোন বজায় রেখে সীমান্ত এলাকা থেকে পিছু হটবে বলে কথা রয়েছে।
বুধবার লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফিরাস আবিয়াদ বলেন, ‘ইসরাইল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধে কমপক্ষে চার হাজার ৪৭ জন নিহত এবং ১৬ হাজার ৬০০ জনের বেশি আহত হয়েছে।
আবিয়াদ বলেন, বেশিভাগ হতাহতের ঘটনা ১৫ সেপ্টেম্বরের পর ঘটেছে এবং নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল লেবাননে নতুন করে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।
সূত্র : ভিওএ