পর্নস্টারকে ঘুষ দেয়ার অপরাধে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে সেই মামলা তুলে নেয়ার আবেদন করেছেন তিনি।
আগামী জানুয়ারি মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিতে চলা ট্রাম্পের আইনজীবীরা স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে নিউইয়র্কের আদালতে আবেদন করেছেন। এতে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পর্নস্টারকে ঘুষ দেয়ার যে মামলা আছে, যাতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, তা ফিরিয়ে নেয়া হোক।
ডয়চে ভেলে বলছে ট্রাম্পের আইনজীবীরা আদালতকে জানিয়েছেন, আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন ট্রাম্প। এরপর তিনি প্রেসিডেন্টের অফিসে বসে কাজ করবেন। তার মাথার ওপর এই মামলাটি ঝুলে থাকলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার কাজের ক্ষতি হতে পারে। সে কারণেই মামলাটি সরিয়ে নেয়া উচিত। ট্রাম্পের বিরোধী আইনজীবীরা অবশ্য এই যুক্তির সঙ্গে একমত না হয়ে বলেছেন, ট্রাম্পের আইনজীবীরা যে যুক্তি দিয়েছেন, তার কোনও বাস্তবতা নেই।
ম্যানহাটানে গত মাসে বিচারপতি জুয়ান মারচান বলেছেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে শাস্তি ঘোষণা হবে, আপাতত তা অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে। কারণ, প্রেসিডেন্ট হয়ে অফিস গুছিয়ে নিতে তার সময় লাগবে। বিপক্ষের আইনজীবীরা আবেদন করেছেন, ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হলে তাকে শাস্তি দেয়া হোক। কিন্তু ট্রাম্পের আইনজীবীরা, মামলাটিই খারিজ করাতে চান।
ট্রাম্পের আইনজীবীরা হান্টার বাইডেনের প্রসঙ্গ তাদের সওয়াল-জবাবে তুলে ধরেছেন। তাদের বক্তব্য, অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পরেও জো বাইডেন তার ছেলেকে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ব্যবহার করে ক্ষমা করে দিয়েছেন। একইভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য ট্রাম্পের মামলাটিও খারিজ করে দেয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, পর্নস্টার স্টরমি ড্যানিয়েলসের মুখ বন্ধ করার জন্য তিনি এক লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে এ কাজ করেছিলেন ট্রাম্প। ড্যানিয়েলের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক থাকলেও সেকথা ড্যানিয়েল যাতে প্রকাশ্যে না বলেন, সে জন্যই ঘুষ দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আদালত এই ঘটনাকে অপরাধ হিসেবেই দেখে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেন।