ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ৩৫টি প্রতিষ্ঠান ও জাহাজকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনে ইরানের অপরিশোধিত তেল বিদেশি বাজারে পাচারের কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। খবর আল জাজিরা।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের (ট্রেজারি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং পারমাণবিক কর্মসূচি বাড়ানোর ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সন্ত্রাস ও আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-সচিব ব্র্যাডলি স্মিথ বলেন, “ইরান তার তেল বাণিজ্য থেকে পাওয়া আয়ের বড় অংশ পারমাণবিক কর্মসূচি, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন প্রযুক্তি এবং আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর অর্থায়নে ব্যবহার করছে। এর ফলে পুরো অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের সব ধরনের আইনি ক্ষমতা ব্যবহার করে আমরা তাদের কার্যক্রমে বাধা দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”
ইরানি তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল শিল্প দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে। নতুন পদক্ষেপে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠানের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ জব্দ করা হবে এবং তাদের সঙ্গে কোনো আর্থিক লেনদেন করা আমেরিকানদের জন্য নিষিদ্ধ থাকবে।
ট্রেজারি জানায়, ইরান জাহাজের কাগজপত্র জাল, ট্র্যাকিং সিস্টেমের কারসাজি এবং বারবার নাম ও পতাকা পরিবর্তনের মতো কৌশল ব্যবহার করে তেল বিক্রির এই কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
এর আগে, গত ১ অক্টোবর তেহরান থেকে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। একইসঙ্গে বৈরুতে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ এবং এক ইরানি জেনারেল হত্যার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল দেশটি।
ইরানের জাতিসংঘ দূত আমির সাঈদ ইরাওয়ানি বলেন, “আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত।”
এছাড়া ইরান সতর্ক করেছে, যদি ‘জ্বালানি যুদ্ধ’ শুরু হয় তবে বৈশ্বিক উৎপাদনের ১০ শতাংশ বা প্রতিদিন প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ ব্যারেল তেলের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।