এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজকের ম্যাচটা ছিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ। তবে এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারল না যুবারা, হঠাৎ ব্যাটিং ধসে হেরে গেছে ৭ রানে।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ মঙ্গলবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। যেখানে টসে জিতে আগে ব্যাট করে ৪৯.২ ওভারে ২২৮ রানে গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা।
জবাবে দারুণ শুরু পায় বাংলাদেশ। মনে হচ্ছিল অনায়াসেই ম্যাচটা জিতে যাবে যুবারা। ৩৯ ওভারে ৩ উইকেটে তুলে ফেলে ১৭২ রান। তবে শেষ পর্যন্ত ৪৯.৩ ওভারে ২২১ রানেই থেমেছে বাংলাদেশ।
অথচ শুরুটা ছিল বেশ আশা জাগানিয়া। জাওয়াদ আবরার ও কালাম সিদ্দিকী উদ্বোধনী জুটিতে ৯.২ ওভারে যোগ করেন ৫২ রান। জাওয়াদ ২২ বলে ২৪ রানে ফিরলে ভাঙে জুটি। এরপর আজিজুল হাকিম (৮) ও শিহাব জেমস ফেরেন (৬) দ্রুত।
তবে দেবাশিষ সরকার ও কালাম সিদ্দিকী চতুর্থ উইকেটে যোগ করেন ৯৯ বলে ৭৪ রান। শতকের খুব কাছে থেকে হতাশা নিয়ে ফেরেন কালাম, আউট হোন ১৩৪ বলে ৯৫ রানে। ৩৯.১ ওভারে ভাঙে এই জুটি।
এখানেই যেন ভেঙে যায় টাইগারদের জয়ের স্বপ্নও। সেই ওভারেই রিয়াজ হোসেনও ফেরেন (০)। সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই ফেরেন দেবাশীষও, থিতু হয়ে আউট হোন ৫২ বলে ৩১ করে। ১৭৮ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর ফয়সাল ও রাতুল মিলে ২৮ রান যোগ করলে ২০০ পেরোয় সংগ্রহ। তবে ৫ বলের মাঝে ৩ উইকেট হারিয়ে লেজ বেড়িয়ে আসে বাংলাদেশের। ৪৭.১ ওভারে ৯ উইকেট হারায় জুনিয়র টাইগাররা। ফয়সালের ২৪ রানের বদৌলতে ২২১ পর্যন্ত পৌঁছায় বাংলাদেশ।
এর আগে আল ফাহাদ, রিজান হোসেনের পেস তাণ্ডবের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে লঙ্কান ব্যাটাররা। তবে একা হাতে লড়াই চালিয়ে যান ভিমাথ দিনসারা। দলের সংগ্রহ ২০০ ছাড়িয়ে যায় তার শতকে।
শেষ ব্যাটার হিসেবে ব্যক্তিগত ১০৬ রানে ভিমাথ আউট হলে ২২৮ রানে থামে শ্রীলঙ্কার ইনিংস। বল হাতে ৫০ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন আল ফাহাদ। আরেক পেসার রিজান হোসেনের শিকার ৩ উইকেট।
এই ম্যাচ হেরে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ। ‘বি’ গ্রুপের রানার্সআপ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নির্ধারিত হবে আগামীকাল ‘এ’ গ্রুপের খেলা শেষে। আগামী ৬ ডিসেম্বর টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে।