spot_img

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক সঠিক গতিতে চলছে: রাষ্ট্রদূত

অবশ্যই পরুন

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তন ও বিকাশমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভেতর দিয়ে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক অব্যাহকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক দৃশ্যপট যেভাবেই বিকশিত হোক না কেনো, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক সব সময় স্থিতিশীল ও শক্তিশালী গতি বজায় রেখেছে।

রোববার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর এক হোটেলে চীনা দূতাবাস আয়োজিত ‘দ্য ২০২৪ রিইউনিয়ন ফর বাংলাদেশি পার্সনস ইন চায়না’-শীর্ষক অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন। রাষ্ট্রদূত ইয়াও চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘এ বছরটি চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে। এক ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে।’

তিনি দুই দেশের মধ্যে সুদৃঢ় সম্পর্কের জন্য পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং জনগণের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, অন্তবর্তী সরকার, রাজনৈতিক দল, ছাত্র ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সাথে সাম্প্রতিক আলাপ-আলোচনায় আমি চীনের প্রতি বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের অকৃত্রিম বন্ধুত্ব গভীরভাবে অনুভব করেছি।

তিনি উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের জনগণ চীনকে বৃহত্তর সমর্থন প্রদানের জন্য আগ্রহী এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে তারা তাদের প্রস্তুতি ব্যক্ত করেছেন। ‘যদি আমরা চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে একটি বিশাল জাহাজের সাথে তুলনা করি, তবে এটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাত্রা করেছে এবং অব্যাহতভাবে তার নির্ধারিত লক্ষ্যের দিকে স্থিরভাবে অগ্রসর হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেন ইয়াও।

রাষ্ট্রদূত ২০২৪ সালে চীন সফরকারী বাংলাদেশি ব্যক্তিদের প্রশংসা করেন এবং পরের বছর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ তম বার্ষিকীর কথা উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদানের ইতিহাস হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে বিস্তৃত। জাতি, বিশ্বাস ও ভাষার স্বাতন্ত্র্য সত্ত্বেও আমরা সবসময় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, সম্প্রীতি ও পারস্পরিক লাভজনক সহযোগিতা বজায় রেখেছি।

তিনি আরও বলেন, ‘একটি নতুন ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে, চীন একই লকষ্য অভিমুখে এগিয়ে যেতে, চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে এবং চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের তরণীকে আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে চালিয়ে নিতে বাংলাদেশি বন্ধুদের সাথে হাত মেলাতে প্রস্তুত।’

পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন চীনের সাথে বন্ধুত্বের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং সম্পর্ক আরও জোরদার করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ‘ঢাকা চীনের সাথে সকল স্তরে কর্মী বিনিময় বাড়াতে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহারিক সহযোগিতা গভীর করতে, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের ক্রমাগত উন্নয়নকে উন্নীত করতে এবং দুই দেশের জনগণের জন্য অধিকতর সুবিধা নিয়ে আসতে ইচ্ছুক।’

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ও পররাষ্ট্র সচিব উদ্দিন ১০ জন বিশিষ্ট প্রতিনিধিকে পুরস্কার প্রদান করেন।

সূত্র: বাসস

সর্বশেষ সংবাদ

সরকারের শ্রম সংস্কার প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত যুক্তরাষ্ট্রের

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শ্রম সংস্কার শীর্ষ অগ্রাধিকারের প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শ্রমিকদের স্বাধীন ট্রেড...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ