রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন রাশিয়া নতুন ওরেশনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে পরীক্ষার জন্য চালিয়ে যাবে এবং এর জন্য একটি মজুত প্রস্তুত রয়েছে।
রাশিয়া প্রথমবারের মতো নতুন মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনে ছোড়ার পরের দিন শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এই কথা বললেন পুতিন। তিনি বলেন, ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ব্রিটিশ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
ক্রেমলিন প্রধান ক্ষেপণাস্ত্রটির প্রথম ব্যবহারের ঘটনাকে একটি সফল পরীক্ষা হিসেবে বর্ণনা করেন এবং আরও পরীক্ষার কথা উল্লেখ করেন।
পুতিন বলেন, আমরা এসব পরীক্ষা চালিয়ে যাব। যার মধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রেও পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। পরিস্থিতি ও রাশিয়ার জন্য সৃষ্ট নিরাপত্তা হুমকির প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে এসব করা হবে। এ ছাড়া আমাদের কাছে এই ধরনের অস্ত্র এবং এই ধরনের সিস্টেমের মজুত রয়েছে, যা ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত।
রাশিয়ার তৈরি এই মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যাপ্তি ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটার। এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়া ইউরোপ বা পশ্চিম আমেরিকার যেকোনো স্থানে আঘাত হানার সক্ষমতা রাখে।
ইউক্রেন জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৩ হাজার কিলোমিটার ছিল। রাশিয়া থেকে ছোড়া উৎক্ষেপণটি মাত্র ১৫ মিনিটে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।