spot_img

ইউক্রেনকে ফের হুঁশিয়ারি, আইসিবিএম ছুড়ল রাশিয়া

অবশ্যই পরুন

ইউক্রেনকে আবারো হুঁশিয়ারি রাশিয়ার। বৃহস্পতিবার মস্কোর ‘নিউক্লিয়ার ডক্ট্রিন’ আনুষ্ঠানিকভাবে বদল করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আর শুক্রবার এই প্রথমবার তারা একটি আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (ইন্টার-কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল, সংক্ষেপে আইসিবিএম) ছুড়ল ইউক্রেনে। পরমাণু অস্ত্রবিহীন ক্ষেপণাস্ত্রটি যে কঠিন সতর্কবার্তা, সীমালঙ্ঘন করলে যে যুদ্ধাস্ত্রের পরিবর্তে পরমাণু অস্ত্র ছোড়া হবে, ইউক্রেন ও তার পাশ্চাত্যের মিত্রদের সে কথাও মনে করাতে ভুলেনি মস্কো।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ হাজার দিন পেরিয়ে আরো জটিল হয়ে উঠেছে। যে ‘অঙ্কে’ মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

আর মাত্র দু’মাস ক্ষমতায় রয়েছেন তিনি। নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুতিন-ঘনিষ্ঠ। তিনি বহু আগে থেকে বলে আসছেন, দায়িত্ব নিয়েই তিনি যুদ্ধে ইতি টানবেন।

এই অবস্থায় ইউক্রেন যুদ্ধে বাইডেন যে আগুন ঘি ঢালছেন তাতে অনেকেই আভ্যন্তরীণ রাজনীতি দেখছেন। রাশিয়ার সতর্কবার্তা উপেক্ষা ইউক্রেনকে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, ল্যান্ডমাইন দিয়ে চলেছেন বাইডেন। এত দিন রুশ-অধিকৃত ইউক্রেনের অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র ফেলছিল কিভ। কিন্তু সম্প্রতি ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভেতরে দূরপাল্লার ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ফেলার অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই কাজ করেছে ব্রিটেনও।

ব্রিটেন-মার্কিন ছাড়পত্র মেলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়ার মাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ও ব্রিটেনের ‘স্টর্ম শ্যাডো’ ক্ষেপণাস্ত্র ফেলেছে ইউক্রেন। রাশিয়া শুক্রবার তার জবাব দিয়েছে। তবে ইউক্রেনের হামলায় তাদের দিকের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে মুখ খোলেনি মস্কো। এই পরিস্থিতির কথা ধারণা করে আগেভাগেই কিভের মার্কিন দূতাবাস সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। দূতাবাসে কর্মীদেরও নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানো হয়।

ইউক্রেনের বিমানবাহিনী শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানায়, সকালে ইউক্রেনের নিপ্রো শহরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ফেলেছে রাশিয়া। তাদের অভিযোগ, সরকারি পরিকাঠামোগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়াই একমাত্র লক্ষ্য রাশিয়ার।

বাহিনীর পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে, রাশিয়ার অ্যাস্ট্রাখান অঞ্চল থেকে আন্তর্মহাদেশীয় আইসিবিএম ছোড়া হয়েছিল। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথম আইসিবিএম ছুড়ল রাশিয়া।

ইউক্রেনের বিমানবাহিনী দাবি করেছে, তারা ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করেছে। কিন্তু তার মধ্যে একটি আইসিবিএম নাকি, তা নিশ্চিত করেনি তারা।

রুশ বোমায় নিপ্রো শহরের বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে, চারদিকে ধ্বংসের চিত্র। একটি শিল্পাঞ্চল ও একটি পুনর্বাসন কেন্দ্র সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে গিয়েছে।

মস্কোকে সংবাদমাধ্যমের তরফে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তারা প্রশ্ন এড়িয়ে যায়। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ স্পষ্টই বলেন, ‘এই বিষয়ে কিছু বলার নেই।’

তবে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, যাতে পরমাণু যুদ্ধের দিকে এগোতে না হয়, সেই পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য তারা ‘সর্বোচ্চ চেষ্টা’ করছে।

তারা জানিয়েছে, নতুন যে নিউক্লিয়ার ডক্ট্রিন বা পরমাণু চুক্তিতে সই করেছেন পুতিন, তাতে এবার পরমাণু শক্তিধর নয়, এমন দেশেও পরমাণু অস্ত্র ফেলতে পারবে রাশিয়া।

তবে মস্কো জানিয়েছে, এখনো এমন কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। তারা বরং বারবার করে সতর্ক করতে চাইছে আমেরিকা-ইউরোপকে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

 

সর্বশেষ সংবাদ

ভারত-পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচের তারিখ ও ভেন্যু প্রকাশ

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শেষ পর্যন্ত হতে যাচ্ছে হাইব্রিড মডেলে। যদিও এখনো চূড়ান্ত সূচি প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে ক্রিকেটভক্তরা। যদিও তার...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ