আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তবে, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধে যে সুপারিশ ছিল তা আপাতত বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাজনৈতিক দল বাতিলের বিষয়ে কিছু না থাকলেও প্রচলিত আইনে সে সুযোগ থাকছে। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েই শেষমেষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।’
তিনি বলেন, ‘অধ্যাদেশে রায়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলের আপিল করার সুযোগ রাখা হয়েছে। আর অডিও ভিজুয়াল, তথ্য দালিলিক প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে ট্রাইব্যুনালে।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের সাড়ে তিন মাসের মাথায় প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে আজ বেলা ১১টায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হয়। প্রায় ২ ঘণ্টার বৈঠকের শুরুতেই আলোচনায় আসে চলমান শ্রমিক আন্দোলনের বিষয়টি।
বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ডক্টর শেখ আবদুর রশিদ জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশের সংশোধনী অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। সংশোধনীতে আনা হয়েছে মোট ২০টি বিষয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনীতে রায়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলের আপিলের সুযোগ, গুম, জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি, গর্ভধারণ ও বন্ধ্যাত্বকরণের মতো বিষয় করা হয়েছে। অপরাধের নির্দেশদাতা হিসাবে কমান্ডার, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের বিচারের আওয়াতায় আনা, অপরাধের টেরিটরিতে দেশের জলসীমা যুক্ত, কোনো বাংলাদেশি অন্য দেশে অপরাধ করলে তারও বিচার, বিদেশি কেউ মানবতাবিরোধী অপরাধ করলেও বিচার করার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া বিচারে অডিও-ভিডিও তথ্যকে দালিলিক প্রমাণ হিসাবে ব্যবহারের বিধান রাখা হয়েছে আইনে।
পরে সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আরও জানান, এজেন্ডায় থাকলেও ট্রাইব্যুনাল রাজনৈতিক দলগুলোর বিচারের সুপারিশ করার বিধানটি আপাতত বাতিল হয়েছে। থাকবে প্রচলিত আইনে।