spot_img

শীতে হাঁপানি রোগীরা কী ভাবে সাবধানে থাকবেন?

অবশ্যই পরুন

শীত আসন্ন। তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়ে অনেকের। বিশেষ করে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস থাকলে অথবা হাঁপানি থাকলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। এই সময়ে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বাড়ে। পাশাপাশি নিউমোনিয়া থেকে সাধারণ সর্দি, শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন রোগের জীবাণু কম তাপমাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে সংক্রমণ বাড়ে। আর সেই সংক্রমণ থেকে হতে পারে শ্বাসকষ্ট।

হাঁপানির রোগীদের যেসব নিয়ম মেনে চলা উচিৎ-

১) মাস্ক ব্যবহারে ধুলা,জীবানু থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাই হাঁপানি রোগীদের বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করা উচিৎ।

২) বাইরে থেকে এসে ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। ব্যাগে স্যানিটাইজার রাখলে খুব ভাল হয়।

৩) প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এমন খাবার রাখা উচিৎ যাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, দুধ, বাদাম, শাক ইত্যাদি প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে, যাতে শরীর আর্দ্র থাকে।

৪) যে সব বয়স্ক মানুষ হাঁপানিতে ভুগছেন, তাদের প্রত্যেকের উচিত বাধ্যতামূলক ভাবে নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নেওয়া। সঙ্গে ইনহেলার অবশ্যই রাখতে হবে।

৫) ঘন ঘন দুধ চা বা কফি পরিহার করে চলা উচিত। বাইরে বেরোলে ঠান্ডা শরবত বা আইসক্রিম ভুলেও খাওয়া উচিৎ না। যদি শ্বাসকষ্ট হয় তা হলে ঈষদুষ্ণ পানিতে একচিমটে লবণ দিয়ে খেলে আরাম পাওয়া যাবে।

৬) হাঁপানি রোগীদের জন্য আমলকিখুবই ভাল। আমলকির রসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। আমলকি খেলে ফুসফুস থেকে দূষিত পদার্থ বা টক্সিন বেরিয়ে যায়। প্রতি দিন অল্প করে তুলসির রস খেলে সর্দি-কাশি, কফ জমতে পারবে না। তুলসি পাতা ফুটিয়ে চা করেও খাওয়া যেতে পারে। সূত্র: আনন্দবাজার

সর্বশেষ সংবাদ

বিপদে মৃত্যু কামনা করা কি জায়েজ?

ক্ষণস্থায়ী পৃথিবী মুমিনের জন্য পরীক্ষার হলের মতো। পরকালে সফল হতে অবশ্যই এই পরীক্ষায় সফলকাম হতে হবে। এরপরই মিলবে কাঙ্ক্ষিত...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ