spot_img

গাজায় ইসরায়েলের ‘গণহত্যা’ তদন্তের আহ্বান পোপের

অবশ্যই পরুন

ক্যাথলিক চার্চের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা পোপ ফ্রান্সিস গাজায় ইসরায়েলের হামলা গণহত্যা কিনা, তা নির্ধারণের জন্য তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। পোপের জয়ন্তী বছরের আগে আসন্ন নতুন বই থেকে রোববার প্রকাশিত উদ্ধৃতিতে এই আহ্বান জানা তিনি। খবর বার্তা সংস্থা এপির।

গাজা যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম ফ্রান্সিস গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড নিয়ে গণহত্যার অভিযোগ তদন্তের জন্য খোলাখুলি আহ্বান জানালেন। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনি বলেছিলেন, গাজা এবং লেবাননে ইসরায়েলের আক্রমণগুলো “অনৈতিক” এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ। দেশটির সামরিক বাহিনী যুদ্ধের নিয়মের বাইরে চলে গেছে।

হার্নান রেয়েস আলকাইডের এবং পোপের সাথে সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে “আশা কখনই হতাশ হয় না, একটি উন্নত বিশ্বের দিকে তীর্থযাত্রী” নামের বইটি আগামী বছর পোপের জয়ন্তীর আগে মঙ্গলবার প্রকাশিত হবে। ফ্রান্সিসের বছরব্যাপী এই জয়ন্তী পবিত্র বছর উদযাপনের জন্য রোমে ৩০ মিলিয়নেরও বেশি তীর্থযাত্রীদের আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রোববার ইতালীয় দৈনিক লা স্ট্যাম্পায় প্রকাশিত উদ্ধৃতিতে বলেছেন, “কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, গাজায় যা ঘটছে তাতে গণহত্যার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি আইনবিদ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রণীত প্রযুক্তিগত সংজ্ঞার সঙ্গে মেলে কি না তা নির্ধারণেরর জন্য আমাদের সাবধানে তদন্ত করা উচিত।”

প্রসঙ্গত, গত বছর ফ্রান্সিস গাজা যুদ্ধের মধ্যে বসবাসরত ফিলিস্তিনি এবং জিম্মি ইসরায়েলিদের আত্মীয়দের সঙ্গে আলাদাভাবে দেখা করেছিলেন। পোপ ওই বৈঠকের পরে ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি উভয়ের দুর্ভোগের কথা বলেছিলেন। পরে ইসরায়েল-হামাস জিম্মি চুক্তি হয় এবং গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছিল। এদিকে গত সপ্তাহে ইসরায়েলি জিম্মিদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেন পোপ।

নতুন বইয়ে পোপ অভিবাসন এবং তাদের স্বাগতিক দেশগুলোতে অভিবাসীদের একীভূত করার সমস্যা সম্পর্কেও কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে, কোনো দেশকে একা রাখা যাবে না। কেউই বিধিনিষেধমূলক এবং দমনমূলক আইনের মাধ্যমে সমস্যাটির সমাধান করার কথা ভাবতে পারে না, কখনো কখনো ভয়ের চাপে বা নির্বাচনী সুবিধার সন্ধানে এসব আইন অনুমোদিত হয়। বর্তমানে যে উদাসীনতার বিশ্বায়ন চলছে, আমাদের অবশ্যই দাতব্য ও সহযোগিতার বিশ্বায়নের সঙ্গে সাড়া দিতে হবে।”

এ সময় ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়েও কথা বলেছেন পোপ। তিনি বলেন, “ইউক্রেনের যুদ্ধের ক্ষত হাজার হাজার মানুষকে তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য করেছে। বিশেষ করে সংঘাতের প্রথম মাসগুলো হাজার হাজার মানুষ বাস্তুহারা হয়েছে।”

সর্বশেষ সংবাদ

চীন সফরে যাওয়ার ঘোষণা শ্রীলংকার প্রেসিডেন্টের

আগামী বছরের জানুয়ারিতে চীন সফরে যাবেন শ্রীলংকার নতুন প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে। দীর্ঘ বিলম্বিত বিদেশি ঋণ কাঠামো পুনর্বিন্যাস শেষে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ