সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জি-২০ সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার এই সিদ্ধান্তের পেছনে শারীরিক অসুস্থতাকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে বিশেষ সূত্র।
আল মায়াদিনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, কানের অসুখে দীর্ঘদিন ভোগার কারণে দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টার রিয়াদ থেকে ব্রাজিলের ভ্রমণ তার জন্য কষ্টদায়ক হতে পারে। এ ধরনের যাত্রা তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, কানের তীব্র ব্যথার কারণে যুবরাজ দূরপাল্লার যাত্রায় বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এ অবস্থায় সম্মেলনে অংশগ্রহণের পরিবর্তে বিশ্রামে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
যদিও যুবরাজ ব্যক্তিগতভাবে জি-২০ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন না, সৌদি আরবের রাজপরিবার এবং রাষ্ট্রপতিরা গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে সৌদি যুবরাজের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে পুনঃনির্বাচনের জন্য অভিনন্দন জানানোর ক্ষেত্রেও তিনি প্রথম বিশ্বনেতাদের একজন ছিলেন।
তেল উৎপাদক দেশগুলোর ওপেক+ জোটের মাধ্যমে সৌদি আরব ও রাশিয়া বৈশ্বিক তেল সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সৌদি বাদশা এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক সৌদি রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে।
যদিও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অনুপস্থিতি জি-২০ সম্মেলনের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ, তবে সৌদি আরব বৈশ্বিক অর্থনীতি ও কূটনীতিতে তাদের ভূমিকা অব্যাহত রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।