জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা ‘দক্ষিণ চীন সাগর, হংকং ও জিনজিয়াংকে ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে এই দু’জনের প্রথম ব্যক্তিগত আলোচনায় গুরুতর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন।
শনিবার টোকিওর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে লিমা থেকে এএফপি একথা জানিয়েছে।
পেরুর অ্যাপেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে আলোচনায়, এই জুটি ‘সংশ্লিষ্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের পারস্পরিক সফরের পাশাপাশি একটি উপযুক্ত সময়ে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং অর্থনীতিতে উচ্চ-স্তরের সংলাপের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য’ সম্মত হয়েছে।
সম্প্রতি ক্ষমতাসীন জোট সাধারণ নির্বাচনে ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করা সত্ত্বেও এই সপ্তাহে সংসদীয় ভোটে ইশিবা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকটি হয়।
জাপান ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয়েছে কারণ বেইজিং এই অঞ্চলে তার সামরিক সক্ষমতা তৈরি করছে এবং টোকিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের সাথে নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদার করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে, ইশিবা ‘চীনা সামরিক বাহিনীর ক্রমবর্ধমান কার্যকলাপের বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন’ এবং জোর দিয়ে বলেছেন, ‘তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতা জাপান এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাইপেইকে তার সার্বভৌমত্বের দাবি মেনে নিতে চাপ দেয়ার জন্য স্ব-শাসিত তাইওয়ানের উপর সামরিক চাপ বাড়িয়েছে, যা দ্বীপের সরকার প্রত্যাখ্যান করে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শি ইতোমধ্যে বলেছেন, তিনি আশা করেন, জাপান ‘ইতিহাস এবং তাইওয়ানের মতো নীতির প্রধান সমস্যাগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা’ এবং ‘পার্থক্যগুলো গঠনমূলকভাবে মোকাবেলা করতে’ চীনের সাথে কাজ করবে।
চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাইপেইকে তার সার্বভৌমত্বের দাবি মেনে নিতে চাপ দেয়ার জন্য স্ব-শাসিত তাইওয়ানের উপর সামরিক চাপ বাড়িয়েছে, যা দ্বীপের সরকার প্রত্যাখ্যান করে।
জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইশিবা শিকে চীনে বসবাসকারী ‘জাপানি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা জোরদার করার’ অনুরোধ করেন এবং শি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ‘জাপানি জনগণসহ বিদেশী নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।’
সূত্র : এএফপি