spot_img

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড

অবশ্যই পরুন

তুলসী গ্যাবার্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ন্যাশানাল সিকিউরিটি এজেন্সির ডিরেক্টর হিসেবে বেছে নিয়েছেন। দেশটিতে হিন্দুদের বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে এই সাবেক ডেমোক্র্যাটকে।

তুলসী গ্যাবার্ডের নাম ঘোষণা করে ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমি আনন্দের সাথে ঘোষণা করছি যে সাবেক কংগ্রেসওম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুলসী গ্যাবার্ড ন্যাশানাল সিকিউরিটি এজেন্সির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে তিনি দুই দলেরই (ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান) ব্যাপক সমর্থন পেয়েছেন এবং এখন তিনি একজন গর্বিত রিপাবলিকান।’

ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তুলসী গ্যাবার্ড। একইসাথে যুক্তরাষ্ট্রে মতো প্রকাশের স্বাধীনতা এবং নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।

হিন্দু কিন্তু ভারতীয় বংশোদ্ভূত নন
তুলসী গ্যাবার্ডের পরিচয় সম্পর্কে অনেকেরই কৌতূহল রয়েছে। তার নাম এবং হিন্দু ধর্মের প্রতি বিশ্বাসের কারণে অনেকেই তাকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত বলেও অনুমান করেন। তবে তুলসী গ্যাবার্ড কিন্তু ভারতীয় বংশোদ্ভূত নন। যদিও নিজেকে হিন্দু বলেই পরিচয় দিয়ে থাকেন তিনি।

১৯৮১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামোয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার বাবা মাইক গ্যাবার্ড এবং মা ক্যারল গ্যাবার্ড। গ্যাবার্ড দম্পতির পাঁচ সন্তানের একজন তুলসী।

১৯৮৩ সালে তুলসী গ্যাবার্ডের বয়স যখন দু’বছর, তখন তার পরিবার যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। হাওয়াইতে আসার পর, তার মা ক্যারল হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হন। তার বাবা একজন রোমান ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ছিলেন। হিন্দু ধর্মের প্রভাবের কারণে ক্যারল গ্যাবার্ড তার সন্তানদের হিন্দু নাম রেখেছিলেন।

রাজনীতির সফর
তুলসী গ্যাবার্ডের বাবাও রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। তিনি প্রথমে রিপাবলিকান পার্টির (২০০৪-২০০৭) সদস্য ছিলেন এবং পরে ২০০৭ সালে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে যোগ দেন।

তুলসী গ্যাবার্ড হাওয়াই থেকে ২০১৩ সালে প্রথমবার এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০২১ সাল পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন তিনি।

রাজনীতি ছাড়াও গ্যাবার্ড দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি ন্যাশনাল গার্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন। ওই সময়ে ইরাক ও কুয়েতের মতো দেশে মোতায়েন ছিলেন তিনি।

তিনি ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বার্নি স্যান্ডার্সের হয়ে প্রচার করেন। ২০২০ সালে ডেমোক্র্যাট হিসাবে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হতে চেয়ে দলের কাছ থেকে মনোনয়ন চেয়েও লড়েছিলেন। পরে অবশ্য জো বাইডেনকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

মার্কিন কংগ্রেসের প্রথম হিন্দু সদস্য তুলসী গ্যাবার্ড তার মেয়াদকালে সরকার পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবা, বিনামূল্যে কলেজ টিউশন এবং বন্দুক নিয়ন্ত্রণের মতো উদারপন্থী নীতিকে সমর্থন করেন।

২০২১ সালে হাউস ছাড়ার পর বেশ কিছু ইস্যুতে তাকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে দেখা যায়। সেই সময় পরোক্ষভাবে ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন বলেও মনে করা হয়েছিল।

এরপর ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে পররাষ্ট্রনীতি ও সামাজিক ইস্যুতে দলের সাথে মতপার্থক্যের বিষয় উল্লেখ করে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ছাড়েন।

সে বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটারে) একটা পোস্টও করেন। এরপরই প্রকাশ্যে ট্রাম্পের সমর্থনে এগিয়ে আসেন তুলসী গ্যাবার্ড।

২০২৪ সালে রিপাবলিকান পার্টিতে যোগ তিনি।

চলতি বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারাভিযানে বেশ সাহায্য করেছেন তিনি। সাবেক ডেমোক্র্যাট হওয়ার কারণে প্রতিদ্বন্দ্বী কমালা হ্যারিসের বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তুতিতেও বেশ সাহায্য করেছেন তিনি।

বিজেপির সাথে ‘নৈকট্য’
২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে বিয়ে করেন তুলসী গ্যাবার্ড। ওই সময় তার বিয়ে নিয়ে ভারতে বিস্তর আলোচনাও হয়েছিল। কারণ, বৈদিক রীতি অনুযায়ী হাওয়াইয়ে সিনেমাটোগ্রাফার আব্রাহাম উইলিয়ামসকে বিয়ে করেছিলেন তুলসী গ্যাবার্ড।

‘দ্য ক্যারাভান’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তরণজিৎ সান্ধু ও রাম মাধব।

ওই সময় রাম মাধব ভারতীয় জনতা পার্টির মুখপাত্র ছিলেন। এর আগে রাম মাধব দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) জাতীয় মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন।

বিয়ের অনুষ্ঠানে রাম মাধব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি ব্যক্তিগত বার্তা পড়ে শুনিয়েছিলেন এবং একটা গণেশের মূর্তি উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন।

বিয়ের কয়েক মাস আগে প্রথমবারের জন্য ভারত সফরে এসেছিলেন তুলসী গ্যাবার্ড। তিন সপ্তাহব্যাপী এই সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদি, তৎকালীন ক্যাবিনেট মন্ত্রী এবং সেনাপ্রধানের সাথে সাক্ষাৎও করেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যাপক প্রশংসা করতে শোনা গিয়েছিল তাকে।

তিনি বলেছিলেন, ‘মোদি একজন খুবি শক্তিশালী নেতা এবং তিনি ভারতকে কোন পথে নিয়ে যেতে চান সেই বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি স্বচ্ছ। তিনি এমন একজন নেতা, যার ভারতের জন্য প্ল্যান অফ অ্যাকশান (নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পরিকল্পনা) রয়েছে।’

শুধু তাই নয়, একটা স্কুল ঝাঁড়ু দিয়ে নরেন্দ্র মোদির স্বচ্ছতা অভিযানের প্রতি সমর্থনও দেখিয়েছিলেন তুলসী গ্যাবার্ড।

বিশ্বের মঞ্চে যোগাসনকে তুলে ধরার প্রধানমন্ত্রী মোদির যে প্রয়াস, সেখানেও গ্যাবার্ডকে দৃঢ় সমর্থন করতে দেখা গিয়েছে।

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথমবার নরেন্দ্র মোদির সাথে তার সাক্ষাৎ হয়েছিল। উপহার হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ছেলেবেলা থেকে তার কাছে থাকা ভগবত গীতা দিয়ে জানিয়েছিলেন মার্কিন সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধক্ষেত্রে মোতায়েন থাকার সময় এরই (ভগবত গীতার) আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। কংগ্রেসন্যাল হিসাবে শপথ নেয়ার সময়েও এই গীতার শপথ নেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সমর্থন করে আসছেন গ্যাবার্ড। ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গাকে কেন্দ্র করে যখন মার্কিন সরকার তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ভিসা দিতে অস্বীকার করেছিল, সরকারের সেই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় মুখর কয়েকজন নেতার মধ্যে তুলসী গ্যাবার্ডও ছিলেন।

হিন্দু পরিচয় নিয়ে সোচ্চার
২০১৯ সালে, তুলসী গ্যাবার্ড তার হিন্দু পরিচয় সম্পর্কে ‘রিলিজিয়ন নিউজ সার্ভিস’-এর জন্য একটা প্রতিবেদন লিখেছিলেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, হিন্দু হিসেবে গর্ববোধ করলেও তিনি ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদী’ নন।

তিনি লিখেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে হিন্দু জাতীয়তাবাদী হওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই অভিযোগের প্রমাণ হিসাবে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতার সাথে আমার বৈঠককে তুলে ধরা হয়েছে। যদিও প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, হিলারি ক্লিনটন এবং কংগ্রেসে আমার অনেক সহকর্মীই তার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন বা তার সাথে কাজ করেছেন।’

তুলসী গ্যাবার্ডের যুক্তি দিয়েছিলেন খ্রিষ্টান, মুসলিম, ইহুদি, বৌদ্ধসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষদের থেকে তিনি যে সমর্থন পেয়েছেন সেটাই তার অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গির প্রমাণ।

২০২০ সালে তিনি এক্স-এ (সাবেক টুইটার) লিখেছিলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, হিন্দুফোবিয়া একটা বাস্তব চিত্র। কংগ্রেসের হয়ে আমার প্রতিটি প্রচারে এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই লড়াইয়ে আমি তা প্রত্যক্ষভাবে অনুভব করেছি। আমাদের দেশে হিন্দুরা প্রতিদিন কী ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় এটা তার একটা উদাহরণ মাত্র। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও মিডিয়া এটা শুধু সহ্যই করে না, প্রচারও করে।’

অনেক অনুষ্ঠানে তাকে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ভগবত গীতা নিয়ে কথা বলতে ও ভজন গাইতে দেখা গেছে। প্রথমবার সংসদে পৌঁছে গীতার শপথ নিয়েছিলেন তিনি।

শপথ নেয়ার পর তুলসী বলেছিলেন, ভগবত গীতা আমাকে দেশ ও অন্যদের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে অনুপ্রাণিত করে।

২০২০ সালে করোনাকালে বিশ্ব যখন একটা কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল, ওই সময় ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন চেয়ে প্রতিযোগিতায় শামিল হয়েছিলেন।

ওই সময় গীতা সম্পর্কে একটা ভিডিও প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘বর্তমান সময় আমাকে সেই পরিস্থিতির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে যখন আমি মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন ছিলাম। ওই সময়েও প্রতি মুহূর্তে আমার জীবন বিপন্ন ছিল এবং এখনকার মতোই বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। ভগবত গীতা সেই সময় আমায় আশ্রয় দিয়েছে, আজও দিচ্ছে।’

কাশ্মীর, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ নিয়ে বক্তব্য
২০২১ সালে দুর্গাপূজার সময় বাংলাদেশে সহিংসতা দেখা যায়। শতাধিক হিন্দু পরিবারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ওই সময় বহু হিন্দু মন্দির, বাড়িঘর ও দোকানপাটে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

এই আক্রমণের নিন্দা জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) একটা ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন গ্যাবার্ড।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মন্দিরে ভগবানের ভক্তদের বিরুদ্ধে এমন ঘৃণা ও সহিংসতা দেখে আমার মন ভেঙে গিয়েছে। জিহাদিদের এই বিশ্বাস, যে মন্দির ও মূর্তি জ্বালিয়ে দেয়া এবং নষ্ট করলে তাদের ঈশ্বর সন্তুষ্ট হবেন, আসলে দেখায় যে তারা ঈশ্বর থেকে কতটা দূরে। বাংলাদেশের তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের কাছে সময় এসেছে যে তারা হিন্দু, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধসহ সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ঘৃণার জিহাদি শক্তির হাত থেকে রক্ষা করুক।’

এর আগে গ্যাবার্ড সংসদে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার সাথে সম্পর্কিত প্রস্তাব পেশ করেছিলেন। ওই সময় তিনি, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নৃশংসতার জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে দায়ী করেন।

২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে নরেন্দ্র মোদির সরকার জম্মু ও কাশ্মির থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের মাধ্যমে তার বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেন। ওই বছর সেপ্টেম্বরে তুলসী গ্যাবার্ডকে কাশ্মির নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। এর জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘কাশ্মির ইস্যু জটিল। অতীতে সেখানে যা ঘটেছে তার কারণে অনেক পরিবারকে নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে হয়েছে এবং তারা এখনো ফিরে আসতে পারেননি।’

৩৭০ ধারার উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘পূর্ববর্তী সরকারের আইন ও নীতি অনুসারে এখানে সমকামিতা অবৈধ ছিল। এই সব নীতির কারণে নারীদের কণ্ঠ রুদ্ধ ছিল। কিছুদিন আগে একজন নারীর সাথে আমার দেখা হয়, যিনি বলেছিলেন যে কাশ্মিরি নারীদের সম্পত্তির মালিকানা নেই। যে কোনও সার্বভৌম দেশের সরকারকে সমস্ত দিক থেকে কাজ করতে হবে।’

বাশার আল আসাদের সাথে বৈঠক নিয়ে সমালোচনা
২০১৭ সালে তুলসী গ্যাবার্ড সিরিয়া সফর করেন এবং এই সময় তিনি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সাথেও সাক্ষাৎ করেন। তার এই বৈঠককে ঘিরে রাজনৈতিক মহল ও সংবাদমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়। এই বৈঠক নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

মার্কিন পার্লামেন্টের সদস্যরা বিদেশী নেতাদের সাথে বৈঠক করতেই পারেন। সে নিয়ে কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু বাশার আল আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে সে দেশের মানুষের ওপর নিপীড়ন ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠে। তাই তুলসী গ্যাবার্ডের সাথে তার সাক্ষাৎ অনেককেই বিস্মিত করেছিল।

২০১৯ সালে যখন তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন দাবি করছিলেন, তখন এই বৈঠক নিয়ে তাকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল।

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাশার আল-আসাদ ‘শত্রু’ কি না এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘তিনি (বাশার আল-আসাদ) যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু নন, কারণ সিরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সরাসরি ঝুঁকি নয়।”

২০১৯ সালে তুলসি প্রকাশ্যে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের সমালোচনা করেছিলেন।

তিনি বলেন, ‘আপনারা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান সম্পর্কে জানেন, তিনি সিরিয়ায় হামলা চালাচ্ছেন। আর এই হামলার জন্য আইএস ও আল কায়েদার সাবেক সন্ত্রাসীদের সহায়তা নিচ্ছে তারা। এটা এমন একটা বিষয় যেটা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে বলে আসছি।’

রজব তাইয়্যেব এরদোগানকে ‘উগ্র ইসলামী’ হিসাবে বর্ণনা করে গ্যাবার্ড বলেছিলেন তিনি ‘ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করে খলিফা হতে চাইছেন’।

সূত্র : বিবিসি

সর্বশেষ সংবাদ

চীন সফরে যাওয়ার ঘোষণা শ্রীলংকার প্রেসিডেন্টের

আগামী বছরের জানুয়ারিতে চীন সফরে যাবেন শ্রীলংকার নতুন প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে। দীর্ঘ বিলম্বিত বিদেশি ঋণ কাঠামো পুনর্বিন্যাস শেষে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ