২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে ব্রাজিলিয়ান রেফারির ওপর মেজাজ হারালেন লিওনেল মেসি। মাঠে রেফারি অ্যান্ডারসন দারোঙ্কোর দিকে আঙুল তুলে শাসান তিনি। ডিফেন্ডার ওমর আলদেরেতে বাজেভাবে ট্যাকেল করলেও রেফারি কার্ড না দেখানোয় এমন প্রতিক্রিয়া লিওর।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ভাগ্য সহায় হয়নি আর্জেন্টিনার। লিড নিয়েও শেষ পর্যন্ত তা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি আলবিসেলেস্তাদের। ২-১ গোলে হেরে তেতো স্বাদ পেতে হয়েছে স্কালোনি শিষ্যদের।
এমন হারের দিনে বাজে খেলার চেয়ে রেফারিদের দিকে আঙুল তুলছে টিম আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে প্যারাগুয়ে ডিফেন্ডার ওমর আলদেরেতে বাজে ট্যাকলের জন্য দেখেন হলুদ কার্ড। চার মিনিট পর আবারও ফাউল করেন তিনি। এবার তার শিকার লিওনেল মেসি। বিপজ্জনকভাবে ট্যাকলের পরও আলদেরেতেকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখাননি ব্রাজিলিয়ান রেফারি অ্যান্ডারসন দারোঙ্কো।
আর্জেন্টিনার জোরালো প্রতিবাদের পরেও তা এড়িয়ে যান রেফারি। যার রেশ থেকে যায় ম্যাচের পুরোটা সময়জুড়ে। প্রথমার্ধ শেষে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি মেসি। রেফারির দিকে আঙুল তাক করে কিছু একটা বলতে থাকেন এই ফরওয়ার্ড। ম্যাচ শেষে কোচ লিওনেল স্কালোনিও রেফারিকে দাঁড় করেছেন কাঠগড়ায়।
বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ম্যাচ শেষে অতীত থেকে শিক্ষা নেয়ার তাগিদ দিয়ে আর্জেন্টিনার হেড কোচ লিওনেল
স্কালোনি বলেন, এখন চাইলে অনেক কিছুই বলা যায়। কিন্তু সেসব অর্থহীন ও অজুহাত মনে হবে সবার কাছে। তাই কিছু না বলাই ভালো, তাতে অজুহাত মনে হবে না এবং লোকেও এভাবে ভাববে না। মাঠে কী ঘটেছে আমরা সবাই দেখেছি। ফলের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
এগুলো নিয়ে না ভেবে অতীত থেকে শিক্ষা নেয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি আরও বলেন, এসব থেকে অনেক কিছুই শিখেছি আমি। কোনো কিছু সঠিক প্রমাণ করতে এমন ঘটনা অজুহাতের মতো শোনায়। তাছাড়া মানুষও অন্যভাবে দেখে। তাই এসব পেছনে রেখে আসাই ভালো।
উল্লেখ্য,২০১৪ সালে ফিফার তালিকাভুক্ত ব্রাজিলিয়ান রেফারি হন দারোঙ্কা। তবে ঘরোয়া লিগসহ আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোতে বিতর্কিত রেফারিংয়ের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।