মার্কিন নির্বাচনের আগে থেকেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের কথা বলে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচিত হওয়ার পরে এই যুদ্ধ বন্ধে এবং শান্তি সংলাপ শুরু করার জন্য বিশেষ দূত নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) মার্কিন টিভি চ্যানেল ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্প বলেন, “আপনার শিগগিরই ইউক্রেন বিষয়ক একজন জ্যেষ্ঠ বিশেষ দূতকে দেখতে পাবেন; তিনি এমন একজন যার ওপর আমরা আস্থা রাখতে পারি। তার মূল দায়িত্ব হবে এই যুদ্ধের একটি সমাধান খোঁজা এবং (রাশিয়া ও ইউক্রেন) উভয়পক্ষকে শান্তি সংলাপের টেবিলে নিয়ে আসা।”
আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন ট্রাম্প। তবে নির্বাচনে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই তার নেতৃত্বাধীন নতুন প্রশাসনের বিভিন্ন পদ ও দায়িত্বে যারা থাকবেন তাদের নাম ঘোষণা করছেন তিনি। ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূতের নামও প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।
তবে কে ইউক্রেন বিষয়ক বিশেষ দূত হতে যাচ্ছেনসে সম্পর্কিত কোনো ইঙ্গিত দেননি ট্রাম্প।
গত ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী, যা এখনও চলছে। এ অভিযানে গত প্রায় তিন বছরে উভয়পক্ষের হাজার হাজার সামরিক-বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনে কোটি কোটি ডলার সহায়তা প্রদান করতে থাকে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরু থেকেই এ যুদ্ধে ওয়াশিংটনের অর্থ সহায়তা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করে আসছেন। সেই সঙ্গে একাধিকবার তিনি বলেছেন যে তিনি প্রেসিডেন্ট হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ যুদ্ধ থামিয়ে দেবেন।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন তিনি।